সিউড়ীতে সশস্ত্র অশান্তি,শান্তিতে তৎপর পুলিশ

Spread the love

খায়রুল আনাম,

বীরভূম : জেলা সদর শহর সিউড়ীর মিনি স্টিল প্ল্যান্ট এলাকা জুড়ে সমাজবিরোধীদের যে আস্তানা রয়েছে, তা নিয়ে বার বার অভিযোগ ওঠা সত্বেও তা যেমন বন্ধ করা যায়নি তেমনি, এখান থেকে বেআইনী আগ্নেয়াস্ত্রের যে কারবার রয়েছে তাও বেড়েই চলেছে। এমন কী, সন্ধ্যার পরে এই এলাকা দিয়ে আশপাশের জনবসতি এলাকায় মহিলারাও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন না। এসব নিয়ে একাধিকবার এলাকায় সংঘর্ষও বেধেছে। মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী মিনি স্টিল এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ২ সমাজবিরোধীকে দেখা গেলে এলাকায় অশান্তি দেখা দেয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তারা পিস্তল বের করে গুলি করে বলে অভিযোগ। এরপরই বহু সংখ্যক পুরুষ- মহিলা ওই দুষ্কৃতিদের পাকড়াও করে, পিছমোড়া করে বেঁধে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে সিউড়ী থানার আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশবাহিনি নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের উদ্ধার করে আনতে গেলে এলাকার মানুষদের সঙ্গে পুলিশের বিবাদ-বচসা বেধে যায়। এই সময় হাত পড়ে আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উর্দিতে। তারপরই পুলিশ লাঠি চালিয়ে উত্তেজিত জনতাকে হঠিয়ে দিয়ে চারজনকে পাকড়াও করে আনতে গেলে আবারও অশান্তি শুরু হয়। পরে অবশ্য পুলিশ তাদের পাকড়াও করে আনতে সমর্থ হয়। এই ঘটনাকে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠীর এলাকা দখলের বিবাদের বিষয় বলা হলেও, ঘটনার দলের যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় মালু আনসারি, ইয়াসিন আনসারি, পুটু আনসারি, বাবু আনসারির নাম উঠে এসেছে। আর তাদের ইন্ধন দেওয়ায় ইকবাল, কুতুবউদ্দিন, জাহিরের নাম উঠে এসেছে। এরা সকলেই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস হিসেবে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *