হাইকোর্টের নির্দেশে একমাসের মধ্যে নিয়োগ পুরুলিয়ায়
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
লিখিত পরীক্ষা হয়েছে, হয়েছে ইন্টারভিউ। এরপর বছর খানেক থমকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। তাই বারবার লিখিত ভাবে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা।গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সবপক্ষের বক্তব্য জেনে একমাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশিকা জারি করেছেন। ঘটনা টি পুরুলিয়ার জয়পুরের সুইসা নেতাজি সুভাষ আশ্রম মহাবিদ্যালয়ের ক্লাক পদে নিয়োগের।এই মামলায় আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অভিষেক প্রসাদ,রামেশ্বর সিনহা।এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের হয়ে উচ্চআদালতে প্রতিনিধিত্ব করেন আইনজীবী সৌগত মিত্র।এই কলেজের লাইব্রেরি ক্লাক পদে একজন ( সাধারণ) এবং লোয়ার ডিভিশন ক্লাক পদে দুজন ( সাধারণ ও তপশিলি উপজাতি) সর্বমোট তিনটি ক্লাক পদ শুন্য থাকে। এইপদে নিয়োগের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে এক দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে থাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ।সেই বছর ১৭ এপ্রিল কলেজে এই নিয়োগ সংক্রান্ত সভা চলে।এরপর লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ হয় চুড়ান্ত তালিকায় শ্রী সুভাষচন্দ্র কুইরি,জয়োদ্রতা মাচ্ছুয়ার,রুস্তম হুর এই তিনপদে নির্বাচিত হন।এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ গতবছর ১৩ জানুয়ারি আলোচনায় বসে।এরেই মধ্যে উচ্চশিক্ষাসংসদ গতবছর ৩১ আগস্ট এই কলেজে প্রশাসক পদে এক প্রশাসনিক আধিকারিক কে নিয়োগ করে থাকে। অপরদিকে বছর খানেক ধরে নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ায় চলতি বছরে ৬ মার্চ এই তিনজন চাকরী প্রার্থী দ্রুত নিয়োগ চেয়ে কলেজের প্রশাসক কে চিঠি পাঠায়।কোন প্রশাসনিক উত্তর না মেলায় তারা আইনজীবী অভিষেক প্রসাদ ও রামেশ্বর সিনহার হাত ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রিট পিটিশন দাখিল করে থাকে। গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মামলাকারী তিনজনের ক্লাক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া একমাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশিকা জারি করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের আইনজীবী সৌগত মিত্র বলেন – ” উচ্চ আদালতের নির্দেশে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। ”