সুন্দরবনের বাঘ বিধবারা কেমন আছেন?
দুর্যোগপূর্ণ আবহে তাদের পাশে ‘জিয়নকাঠি ‘
কুলতলির ধোঁড়াবাগদার শ্রীদাম হালদার কাঁকড়া ধরতে বাঘের আক্রমণে চলে গেল কয়েকমাস হলো ।
এক বিকলাঙ্গ শিশুকন্যা সহ চার মেয়ে নিয়ে দিশেহারা
অকাল বৈধব্যের শিকার ভগবতী হালদার ।
আবার গত জুলাইয়ের (2004) ১১ তারিখে বেনিফেলিতে বৈধ পাশ নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে আর ঘরে ফেরেনি দেউলবাড়ির আবুরালী মোল্লা । তার স্ত্রী মহিমা মোল্লা ছোট ছেলে মুনতাছিরকে কোলে নিয়ে এখনও কেঁদে চলেছে ।
ছায়াতন খান ,নেছারণ খান এক বাড়ির দু’বউ । উভয়ের কপালে অকাল বৈধব্য নেমে এসেছে বাঘের আক্রমণে । বড় ভাই বাক্কার , মেজ ভাই ওম্বরের মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে বাাঘের মুখে প্রাণ চলে যায় । তার ছোট ভাই সহরাব খান বাঘের আক্রমণ থেকে কোন রকমে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন ।
অশিতিপর ফাতেমা বেওয়া তাঁর স্বামী পালান গাজিকে হারিয়েছেন কতদিন হয়ে গেলো । অকাল বৈধব্যের বোঝা বইতে হচ্ছে আজ ও ।
দেউলবাড়ির লখিন্দর সাঁপুই বাঘের মুখ থেকে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে আছেন বিকলঙ্গ হয়ে । অসহায় বিধবা মা রুহুলা ,স্ত্রী কমলাকে বাঁচাতে নাবালক সন্তান আজ শিশুশ্রমিক । আজ উত্তাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে আগামী শারদ উৎসবের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য পোষাক সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলো ‘সমকালের জিয়নকাঠি প্রকাশন ‘ । সমগ্র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবন গবেষক ,এবং প্রকাশক -নাজিবুল ইসলাম মণ্ডল ।