মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
একদা মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা এবং দীক্ষাগুরু আব্দুল হামিদ দানেশখান্দের স্মৃতিভূমি মঙ্গলকোটে পালিত হলো সুফি দিবস। যে মঙ্গলকোটের টানে সূদুর পারস্য থেকে পায়ে হেঁটে এই মঙ্গলকোটে এসেছিলেন বিখ্যাত সুফি সাধক আব্দুল হামিদ দানেশখান্দ, যাঁকে হামিদ বাঙ্গালী নামে জানে এলাকাবাসী। আঠোরো অলির ( পীর) মহাত্মার কথা যেনে যেমন তিনি এসেছিলেন। ঠিক তেমনি আফগান – মুঘল যুদ্ধের সময় বর্ধমানে এসেছিলেন শাহজাদা খুরহম। যিনি পরবর্তীতে ভারতবর্ষের মুঘল সম্রাট হিসাবে পরিচিত হয়েছিলেন। এই মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশা সুফি সাধক হামিদ বাঙ্গালীর টানে দিল্লি থেকে পাঁয়ে হেঁটে এই মঙ্গলকোটে এসেছিলেন। ঠিক এইরকম সুফিবাদের রাজধানী মঙ্গলকোটে শুক্রবার ‘ইন্ডিয়ান সুফি সমাজ’ নামে এক সংগঠন দুই বাংলার মাওলানা – মুফতিদের নিয়ে সুফি দিবস পালন করলো। মঙ্গলকোট গ্রামের জওহর মিশন চত্বরে পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি সর্বপরি বাংলাদেশ থেকে অতিথিরা এসেছিলেন সুফিবাদের একদা রাজধানী মঙ্গলকোটে।শুক্রবার মঙ্গলকোটের জওহর মিশনে সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে অবধি চলে সুফি দিবস। আব্দুল হামিদ দানেশখান্দ ( হামিদ বাঙ্গালী) ছাড়াও আজমেরি খাজা বাবার মহাত্মা নিয়ে দুই বাংলার মাওলানা মুফতিরা আলোচনা সভা চালান। সংস্থার কর্মকর্তা হিসাবে রয়েছেন শতাধিক ইসলামিক গ্রন্থের প্রণেতা মোবারক করীম জওহর, হাইকোর্টের আইনজীবী মাসুদ করীম প্রমুখ। বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন জনাব সুফি মাওলানা মুফতি মাসুদ উজ্জামান লিটু সহ বেশ কয়েকজন বক্তা।এদিনকার সুফি দিবসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আব্দুল হামিদ দানেশখান্দ এর উদাহরণ তোলা হয়। যিনি নিজেকে একজন ‘বাঙালি’ নামে সর্বাধিক পরিচিত লাভ করেছিলেন মুঘল যুগে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী মাসুদ করীম জানান ” গত ১৫ বছর ধরে আমরা সংখ্যালঘু সমাজের বিভিন্ন গুণীজনদের নিয়ে এই আলোচনা সভা করে থাকি”।