সুস্থ সংস্কৃতির লক্ষ্যে আয়োজিত হলো অনুষ্ঠান
নীহারিকা মুখার্জ্জী
উদ্দেশ্য যখন মহৎ হয় এবং লক্ষ্য যদি একই থাকে তখন দূরত্ব কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠেনা। আন্তরিকতা নিমেষেই সমস্ত দূরত্ব দূর করে পরস্পরকে কাছে টেনে নিয়ে আসে। সুস্থ সংস্কৃতির বাতাবরণ সৃষ্টির লক্ষ্য ওদের কাছে টেনে এনেছে। কয়েকদিন আগেও কেউ কাউকেই চিনতনা। প্রত্যেকের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্ব যথেষ্ট। পরিচিতি গড়ে ওঠে সমাজ মাধ্যমে। ভাবের আদান প্রদান করতে গিয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের মনের ভাবনাটা সামনে আসে। সেটাই বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য গড়ে ওঠে 'গান গাই আমরা সবাই একসাথে থেকে'। প্রতিষ্ঠাতা এডমিন কৃষ্ণেন্দু সরকার ও অপর এডমিন অলকা চক্রবর্তী।
এসব মাত্র কয়েক মাস আগেকার ঘটনা। ২০২৩ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর গড়ে ওঠে এই
সংস্থাটি। পরস্পরকে চাক্ষুষ করার জন্য গত ১৮ ই ফেব্রুয়ারি বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাঘরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, ভারতনাট্যম নৃত্য ইত্যাদি পরিবেশন করেন গ্রুপের সদস্যরা। সুদীপা সাঁই শীল ও সন্দীপ সেনের নৃত্য প্রত্যেককে মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে ১৬ জন সদস্যকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। যদিও বিভিন্ন কারণে তিনজন অনুপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বিশিষ্ট কবি, বাচিক শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী তথা সমাজসেবী মন্দিরা মুখার্জ্জীকে। তিনি বললেন - আমি আপ্লুত। গ্রুপের উদ্দেশ্য জেনে আমি মুগ্ধ। আশাকরি সবার হাত ধরে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের রাজ্যে আবার সুস্থ সংস্কৃতির বাতাবরণ গড়ে উঠবে।
উপস্থিত সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কৃষ্ণেন্দু বাবু বললেন - আমাদের গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য প্রবীণ। কেউ কেউ অবসরপ্রাপ্ত। আমাদের লক্ষ্য আগামী প্রজন্মকে একটা সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে দেওয়া যেখানে তারা নিজেদের মত করে সাংস্কৃতিক চর্চায় মগ্ন হতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, নবীন প্রজন্মকে পাশে পাচ্ছি তাতে আশাকরি আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।