মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
মার্চ মাসের শেষের দিকে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন। যা এখনও চলছে ধাপে ধাপে। স্কুল – কলেজ, অফিস – আদালত একপ্রকার বন্ধ বলা যায়। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেবারেই বন্ধ। যেখানে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ সেখানে ক্রমাগত পড়ুয়াদের বেতন কেন দিতে হবে? এই মর্মে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার বেসরকারি স্কুলগুলিতে দফায় দফায় চলেছিল অভিভাবকদের বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি৷স্কুল হচ্ছেনা, টিউশন ফি নেওয়া হোক। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এর বাকি বেতন নেওয়া চলবেনা। এই মর্মে বিনীত রুইয়া নামে এক অভিভাবক কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন৷ মঙ্গলবার দুপুরে ছিল যার ভার্চুয়াল শুনানি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার অনলাইন শুনানি চলে। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ডিভিশন বেঞ্চ পরিস্কার ভাবে নির্দেশ দেয় – ‘চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত স্কুলের বকেয়া বেতন মিটিয়ে ফেলতে হবে ১৫ আগস্টের মধ্যে। যাদের আর্থিক অবস্থা করোনার জেরে বেহাল তাদেরকেও বকেয়া বেতনের অন্তত আশিভাগ মিটিয়ে দিতে হবে ‘। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলি কে এই ব্যাপারে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগস্ট মাসের মধ্যে বলে জানা গেছে।