স্টাফ স্পেশাল ট্রেন থাকলেও বেপাত্তা জরুরি বাস
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
চলতি সময়কালে রাজ্য সরকার দু দফায় লকডাউন বহাল রেখেছে। যা রাজ্যে ১৫ ই জুন পর্যন্ত চলবে।সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ বলা যায়। অত্যাবশকীয় পণ্যের গাড়ি ছাড়া রাস্তায় কিছুই নেই।রাজ্য সরকারের ঘোষিত প্রথম পর্যায়ে লকডাউনে ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল।তবে লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে রেলের নিজস্ব কর্মীদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুলিশ, ব্যাংক,টেলিকম, আদালতের কর্মীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে মান্থলী টিকিট কেটে বিভিন্ন রেলরুটে যাতায়াত করছেন। আগের তুলনায় বহুগুণ নিত্যযাত্রী বেড়েছে রেলের।তবে সমস্যা টা দাঁড়িয়েছে ট্রেন থাকলেও বেপাত্তা রয়েছে বাস।বিশেষ করে হাওড়া – শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও মিলছেনা বাস।তাহলে নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌছাবে কিভাবে এইসব স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে আসা যাত্রীরা? বিশেষ সূত্রে জানা যায়, কলকাতা পুলিশের এক শাখা বিভাগের জন্য বাস বরাদ্দকৃত হলেও সেই বাসে কলকাতা পুলিশেরই অন্য শাখার কর্মীরা উঠলে নাক সেঁটে থাকেন বরাদ্দকৃত বাসের ওই শাখার পুলিশ যাত্রীরা। এরফলে জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীরা প্রতিনিয়ত বাস দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।এই পরিস্থিতিতে ট্যাক্সিওয়ালাদের কপাল খুলে গিয়েছে বলা যায় এই পরিস্থিতির মাঝে ।অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দ্বিগুণ থেকে তিনগুন ভাড়া দিয়ে আসতে হচ্ছে জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের কে।হাইকোর্ট থেকে হাওড়া স্টেশনে আসতে আগে ট্যাক্সি ভাড়া লাগতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা।এখন তা দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ এর মধ্যে। গত এক সপ্তাহে রেলের নিত্যযাত্রী যা বেড়েছে তার তুলনায় রাস্তাঘাটে প্রয়োজনীয় বাস নেই বললেই চলে।আগামী ১৫ ই জুন অবধি জরুরি পরিষেবায় এই নিত্যযাত্রীদের সংখ্যা আরও বাড়বে।তাই রাজ্য সরকারের পক্ষে দ্রুত পদক্ষেপ অর্থাৎ স্টাফ স্পেশাল বাস না বাড়ালে করোনা আবহে দুর্ভোগ ক্রমশ বেড়েই চলবে। হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বাস ঠিকঠাক মেলেনা বলে অভিযোগ জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের বড় অংশের।বিভিন্ন রেলরুটে ট্রেন পুরো দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা অন্তর পাওয়া গেলেও মহানগর কলকাতার রাস্তায় জরুরি পরিষেবাকারীদের বাস পাওয়া দুস্কর।যা নিয়ে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান – ” যা বেতন পাই মাসে, এখন তার অর্ধেকটায় খরচ হয়ে যাচ্ছে ডিউটি করতে গিয়ে যানবাহন খরচে”।