“স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায় …….!”

Spread the love

“স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায় …….!”


নাজিবুল ইসলাম মণ্ডল

স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব আমাদের অর্জিত অলংকার ,অধিকার ও । নিরপেক্ষতা আমাদের বিধানিক সত্তা । গণতন্ত্র তো আমাদের সঙ্গে সঙ্গে চলে । কথা বলে ,কথা বলায় । শালীন ব্যবহারে শোভনসুন্দর করে ।
করে তো সম্মাননীয় সুহৃদ পাঠক ؟؟؟!!
না , নিরুত্তর থাকাটা কোনকালে কোনো প্রশ্নের উত্তর হতে পারে না । বলতে হবে । তবে ,কী বলবেন , কখন বলবেন, কাকে বলবেন ,কীভাবে বলবেন –সেটা নির্বাচন , নির্ধারণ তো আপনি করবেন । একবার অন্তত ‘স্বাধীনতা ‘ কথাটা ভাবুন ….!!!
এই তো স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্ -মুহূর্তে আর . জি. কর হাসপাতালে কর্তব্যরত একজন ডাক্তারকে রাতে নিজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত জায়গায় , নিজের চাকরিস্থলে ধর্ষিত হতে হল । তারপর তাঁর মৃত্যু কে কেন্দ্র করে মেয়েরা ,মায়েরা ,সঙ্গে বাবারা ও রাস্তায় নেমেছিলেন !!!
এ উদ্যোগকে বহুমানুষ স্বাগত জানিয়েছেন । অংশগ্রহণ ও করেছেন । কিন্তু প্রতিবাদ কী কালক্রমে মানুষকে দিকশূন্য করে ফেলে ! জ্ঞান হারিয়ে ফেলে প্রতিবাদী স্বরের মালিক মালকীনদের ! আর জি করের একটি অদম্য প্রতিবাদী অভিমুখকে কে বা কারা ঘুরিয়ে দেওয়ার বিষয় তৈরি করে দিয়ে গেল !؟ আমরা বিস্ময়াভিভূত !!!
বিষয়টি সরাসরি হাইকোর্টের বিচারাধীন ! সি.বি .আই -এর তদন্ত চলছে । অপরাধীদের বিরুদ্ধে অগনন জনস্রোত । সমবেত আর্জি – অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক । — তা বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মূল্যবান সম্পদ তছনছ !! বাংলাদেশের মিউজিয়াম , স্থাপত্য ভাঙচুর নিয়ে আমরা যে যাই বলিনা কেন ! আমরা কিছু শিখিনি !!!!
এ কথা মারাত্মকভাবে সত্যি যে- প্রতিবাদ একটি প্রবল শক্তিধর অবস্থান ! কিন্তু তার চরিত্র হনন করতে আমরা পারি কী না !! ভাবতে হবে …..!
একথা স্বীকার করতে হয় , অনিয়ন্ত্রিত একমুখীন ন্যায্য প্রতিবাদ , পরিশেষে অনেক সময় খেই হারিয়ে ফল হয় ‘শূন্য ‘! এখন প্রশ্ন হলো – কেন তা হবে ….!! আমি আছি , আমরা আছি ! অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে,পড়ছে । দেশের আইন -কানুন , ন্যায়ালয় ,মানে বিচার ব্যবস্থা তো আছে ।
আজ সারা দেশে 78তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন চলছে । সকাল থেকে অঝোর নয়নে বৃষ্টিস্নাত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের উজ্জ্বল প্রাপ্তি । মুহুর্মুহু বজ্রাঘাত ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি করছিলো ! টাপুর টাপুর বৃষ্টির ভিতর বাজার করার অপশান । যেতেই হবে ।
আলু ,মদনার ডাঁটা, মোটা পুইঁশাখ, ঝিঙে কিনে সোজা বাড়িতে । কারণ , আর একটু বাজসরে থাকলে আমার জামানত জব্দ হতো । বাজার শেষে হঠাৎ মনে হলো , বউ তো তেলের কথা বলেছিলো । হাতে দেখি 60 টাকা অবশিষ্ট আছে! ভূষণের হাতে দিয়ে বললাম -আমার 500 গ্রাম সর্ষে তেল দাও । ভূষণ বললে -500 তেলের দাম 75 টাকা !
আমার মাথায় হাত ; 15 টাকার ডেফিসিয়েন্সী ! ভূষণের হাত থেকে টাকাটি আলতু করে নিয়ে মাথা হেঁট করে সোজা বাড়িতে । বাজারের আর কারোর সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলিনি । বুঝে গেছি , বাজারে সমতা নেই ,নেই স্বাধীনতা । তাহলে আছেটা কী !!!!!

[15 আগস্ট , বৃহস্পতিবার, (2024)সময়: দুপুর 12:18 মিনিট ]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *