হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ এবং ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বোলপুর মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন নাগরিক মঞ্চের
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- বোলপুর নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ এবং ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বোলপুর মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভার ন্যায় বীরভূমের ও পৌরসভা এলাকায় শুরু হয়েছে হকার উচ্ছেদ অভিযান।উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বহু হকারের রুটি রুজিতে টান পড়েছে। সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই বহু শ্রমিক সংগঠন, নাগরিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ মিছিল,ডেপুটেশন ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। সেরূপ বোলপুর নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে বোলপুর মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
দাবি সমূহের মধ্যে ছিল উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং বিকল্প পুনর্বাসন। দল-মত নির্বিশেষে সকলেই নাগরিক মঞ্চের ব্যানার উপস্থিত হয়েছিলেন।অবস্থান-বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উল্লেখ করেন যে, হকারী ভেন্ডার আইনসিদ্ধ পেশা। কোন হকারকে একান্ত প্রয়োজনে যদি উচ্ছেদ করতেই হয় তাহলে ৩০ দিন আগে নোটিশ না দিয়ে তা করা যায় না। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কোন হকারের লাইসেন্স বাতিল করা যায় না। ফুটপাতের প্রস্থের তিন ভাগের একভাগ জায়গায় হকার বসা আইন সিদ্ধ। ট্রাফিক বিঘ্নিত না করে রাস্তায় ঠেলা গাড়ি নিয়ে হকারী আইনসিদ্ধ ইত্যাদি হকারী আইন বিষয়ক দিকগুলি তুলে ধরা হয়। এছাড়াও বক্তারা বলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার উভয়ই বিভাজনের রাজনীতিনীতি চালাচ্ছে।বৃহৎ পুঁজিবাদের স্বার্থেই এই হকারী উচ্ছেদ অভিযান। তাছাড়াও বলেন সদ্য লোকসভা নির্বাচনে পৌরসভা এলাকাগুলিতে তুলনামূলক ভাবে তৃণমূলের ভোট সংখ্যা অনেক কমেছে।সেটা একটি রাজনৈতিক ভাবে মাথা ব্যাথার কারন তৃনমূল কংগ্রেসের কাছে।সেই ইস্যুকে সামনে রেখে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল সরকারের হকার উচ্ছেদ অভিযান। মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে একরাশ দূর্নীতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।সেখানে নিজের দলের মন্ত্রী থেকে ডিএম, ওসি আইসি সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার আধিকারিকদের কড়া সমালোচনা করেন।সেই হিসেবে তাদের জেলহাজতে থাকার কথা।কিন্তু সেটা না হয়ে হকারদের উপর ক্ষোভের রাশ প্রকাশ পেল। এরূপ কথাগুলো বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন বোলপুর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপতি তথা প্রবীন নাগরিক শৈলেন মিশ্র। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বকুল ঘড়ুই, রঞ্জিত প্রামানিক প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।বিক্ষোভ শেষে কয়েকজন প্রতিনিধি গিয়ে বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ এর সাথে দেখা করেন এবং হকারদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন। তিনি আগ্রহ সহকারে প্রতি নিধি দলের কথা শোনেন এবং দাবি সমূহের কপি জেলা শাসকের নিকট পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন বলে বোলপুর নাগরিক মঞ্চের বক্তব্য।