স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে অর্থনৈতিক দিশা
হস্তশিল্পকেন্দ্র পরিদর্শনে জাপানি প্রতিনিধি দল
খায়রুল আনাম
বাংলার হস্তশিল্প সারা বিশ্ব জুড়েই সমাদৃত। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার হস্তশিল্পকে সারা বিশ্বে বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সরকারি সহায়তা ও ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে এবং সেইসাথে তাঁদের হস্তজাত শিল্প সামগ্রী যাতে বিদেশে বাজারজাত করে অর্থ উপার্জন করা যায়, তারজন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হস্তজাত সামগ্রী বিপণনের জন্য সরকারিভাবে হস্তশিল্প মেলাও করা হচ্ছে। বাংলার তাঁতের শাড়ি, খাদি ও নক্সি কাঁথা, সদ্য জিআই তকমা পাওয়া পেয়েছে। করিয়াল শাড়ি এবং শান্তিনিকেতনের চর্মশিল্প এখন সারা বিশ্বে বাজারজাত হয়েছে।
এইসব হস্তশিল্প সামগ্রী কী ভাবে ও কোন পরিবেশে কাদের হাত দিয়ে সুনিপুনভাবে তৈরী হচ্ছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ভারত সরকারের টেক্সটাইল কমিটির তিন সদস্য জাপানের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে এলেন বীরভূম পরিদর্শনে। এই প্রতিনিধিদলটির সাথে জেলার পদস্ত আধকারীকদের একটি প্রতিনিধিদলও যোগ দেয়। এই প্রতিনিধিদলটি শান্তিনিকেতনের দেবানন্দপুর গ্রামের একটি সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সেখানে জাপানি এই প্রতিনিধি দলটিকে সুনিপুণ হস্তশিল্পের নিদর্শন বাঁশের কাঠি ও বেতের তৈরী মোড়া ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আধুনিক যন্ত্র নির্ভর শিল্পের যুগেও যে ভাবে হস্তচালিত তাঁত এবং সূচ-সূতোয় হস্তশিল্প সামগ্রী হচ্ছে, তা দেখে মুগ্ধ হয় প্রতিনিধিদলটি। এইসব হস্তশিল্পীরা হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরী করতে গিয়ে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছন কী না, হস্তজাত শিল্পকে বাজারজাত করা এবং তা বিপণনের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হচ্ছেনকী না, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। বাংলার হস্তশিল্পীদের সুনিপুন হস্তশিল্প সামগ্রী জাপানে বাজারজাত করা হলে তার যোগান অব্যহত রাখার বিষয়টি নিয়েও তাঁরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। এখানকার হস্তশিল্পীদের জাপান যাওয়ার আমন্ত্রণও জানায় জাপানের এই প্রতিনিধি দলটি।।
ছবি : জাপানি প্রতিনিধী দল।