হাইকোর্টের মিডিয়েশন কমিটির কাজের ধারা জানলো বইমেলায় আগত বইপ্রেমীরা 

Spread the love

হাইকোর্টের মিডিয়েশন কমিটির কর্মকাণ্ড জানলো বইমেলায় আগত বইপ্রেমীরা 

মোল্লা জসিমউদ্দিন   , 

 ২৮ শে জানুয়ারি সল্টলেকের করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হয়েছিল ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। চলে ৯ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশ – বিদেশের নানান বইয়ের সম্ভারে ডুব দিয়েছেন  বইপ্রেমিকরা।এবার কলকাতা  বইমেলার ৫ নং গেটের কাছাকাছি ৩২১ নং স্টল ছিল কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন আন্ড কনসলিডেশন কমিটির। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষজন ভীড় জমিয়েছেন এই স্টলে।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন কমিটি কিভাবে  মামলার পাহাড় কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নিচ্ছে? তা বিভিন্ন  বইয়ের পাশাপাশি মিডিয়েশন কমিটির সদস্যরা বইমেলায় আগতদের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন  । প্রত্যেকের হাতে মিডিয়েশন সম্পর্কিত লিফলেট – বই তুলে দেন মিডিয়েশন অফিসের স্টাফ মহম্মদ নৌশাদ,আকবর আলি,মৌসুমি মন্ডল প্রমুখ।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশে বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বে এবং মেম্বার সেক্রেটারি সঞ্জীব শর্মার পরিচালনায় মিডিয়েশন কমিটি গোটা রাজ্যজুড়ে বছরভর কাজকর্ম চালাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (লিগ্যাল) আর, এবং মিডিয়েশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড: শুভাশিস মুহুরী জানিয়েছেন -“২০০৯ সাল থেকে কলকাতা হাইকোর্টে এই কমিটি শুরু হয়েছে। গতবছর সমাজের বিভিন্নস্তরের অভিজ্ঞদের নিয়ে ১২৫ জনের মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা /অবসরপ্রাপ্ত বিচারকরা/ প্রাক্তন আইপিএসরা সহ আইনজীবী, স্থাপত্যবিদ, সাংবাদিক প্রমুখরা রয়েছেন”। জানা গেছে,  কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি সারা রাজ্যে ৭২ টি এডিআর (বিকল্প বিবাদ নিস্পত্তি কেন্দ্র) সেন্টারে  মিডিয়েশনের মাধ্যমে মামলার নিস্পত্তি ঘটানো হয়।গোপনীয়তা, নিরপেক্ষতার মাধ্যমে দুপক্ষের বিবাদ কিভাবে মেটানো হয়? তার বার্তা জনমানসে দিতে বইমেলায় স্টল করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ড: শুভাশিস বাবু। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *