হাওড়া ডিএলএসএর সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলো বিচারধীন যুবক
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
অসহায় ও দুস্থ মানুষদের আদালতে আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি নিম্ন আদালতে আইনী সহায়তা কেন্দ্র চালু রেখেছে। দ্রুত মামলা নিস্পত্তির জন্য যেমন জাতীয় লোক আদালত আয়োজনে আইনী সহায়তা কেন্দ্রের ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ। ঠিক তেমনি অর্থের অভাবে কোন দুস্থ বা অসহায় মানুষ কে আইনজীবী নিয়োগ করে বিচার পাইয়ে দেওয়াতেও অনবদ্য ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে আইনী সহায়তা কেন্দ্র গুলি।ঠিক এইরকম এক বিচারধীন বন্দি কে সুস্থ করে শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিল হাওড়া জেলা আইনী সহায়তা কেন্দ্র।এই বিচারধীন বন্দির যাতায়াতের সমস্ত খরচ পর্যন্ত বহন করেছে এরা।শুধু তাই নয় যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্য এক পাশ্ব আইনী সহায়ক নিয়োগ করে থাকেন হাওড়া জেলা আদালতে আইনী সহায়তা কেন্দ্রের সচিব সংঘমিত্রা চট্টপাধ্যায়।হাওড়া জেলা আইনী সহায়তা কেন্দ্রের অফিসমাস্টার প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন – ” মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানার অন্তর্গত শঙ্করপুরের তপেস মন্ডলের ছেলে অসীম মন্ডল চলতি বছরের গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। হাওড়া মেন্টাল হেলথ কমিটির সুপারিশে কলকাতার প্যাভলব এবং হাওড়া জেলা হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসা চলে।অর্থের অভাবে তার বিরুদ্ধে উঠা মামলায় আইনজীবী নিয়োগ করতে পারছিলেন না।এই বিষয়ে জেলা সহায়তা কেন্দ্রের সচিব সংঘমিত্রা চট্টপাধ্যায় জানতে পেরে আইনজীবী নিয়োগ করে দেন”। বন্দি পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশে আদালত ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে থাকে। গত ১০ আগস্ট হাওড়া জেলা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। তবে দায়িত্ব পালনে তৎপর হাওড়া জেলা আইনী সহায়তা কেন্দ্র এখানেই থেমে থাকেনি। এজন্য অনুরুপ মজুমদার নামে একজন কে পাশ্ব আইনী সহায়ক নিয়োগ করে হাওড়া জিআরপিএফের সহযোগিতা নিয়ে হাওড়া স্টেশনে চাপিয়ে দেয় গত মঙ্গলবার রাতে।যাতায়াতের পুরো খরচ বহন করে থাকে আইনী সহায়তা কেন্দ্র।বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের জেলা আইনী সহায়তা কেন্দ্রের সহযোগিতায় ফারাক্কার শঙ্করপুরে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় জামিন পাওয়া আপাতত মানসিক সুস্থ অসীম মন্ডল কে।হাওড়া আইনী সহায়তা কেন্দ্রের এহেন মানবিক প্রয়াসে খুশি ফারাক্কার এই মন্ডল পরিবার।