সাধন মন্ডল,
হাতছাড়া হলো সারেঙ্গা ব্লকের একমাত্র বিজেপি পরিচালিত বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। উল্লেখ্য বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারেঙ্গা ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি।
পঞ্চায়েতের ১১ টি আসনের মধ্যে আটটি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী ও তৃণমূল এবং নির্দল প্রার্থী মিলিয়ে তিনটি আসনে জয়লাভ করেছিল ফলে সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিজেপি পঞ্চায়েত পরিচালনার দায়িত্ব পায়। আর বিধানসভা নির্বাচনের পরেই এই পঞ্চায়েতের তিনজন সদস্য নিয়তি মাল মল্ল,শিবদাস সিং, সুন্দরী কিস্কু হেম্ব্রম বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল ভবনে জেলা সভাপতির কাছে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ফলে তৃণমূলের মোট ৬ জন সদস্য হওয়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃনমূল কংগ্রেস। আজ ছিল অনাস্থার পক্ষে ভোটাভুটি এই ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছিল, ছিল ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই ভোটাভুটিতে বিজেপি সদস্যরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। আর আজকের ভোটাভুটিতে একজন নির্দল প্রার্থী ও একজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের ৮ সদস্য হওয়ায় ভোটাভুটিতে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিদায়ী বিজেপি প্রধান লক্ষণ কিস্কু অভিযোগ করে বলেন তাদের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চায়েত দখল করছে। অন্যদিকে লক্ষন কিস্কুর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত মিশ্র বলেন এটা মামুলি কথা, একথার কোন ভিত্তি নেই। আসলে মানুষ দিদির উন্নয়ন কে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছেন। মানুষ বুঝতে পেরেছেন বিজেপি নামক দলটি একটি ভাঁওতাবাজির দল তাই তারা ভুল বুঝতে পেরে মা মাটি মানুষের সরকারের পক্ষে এসে এলাকার মানুষের উন্নয়ন করতে চাইছে। আগামী দিনে এলাকার আরো অনেক বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছে। বাংলার উন্নয়ন একমাত্র মমতা ব্যানার্জিই করতে পারেন তাই মমতা ব্যানার্জীর হাত শক্ত করতে সকলকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তলে আসতে হবে।