হায়দ্রাবাদের নাল্লাগান্ডলায় অপর্না সরোবরের পুজোয় ছৌ-গড়বার হাত ধরাধরি
হায়দ্রাবাদ শহরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্ট নাল্লাগান্ডলা লেক। তার পাশেই অপর্না সরোবর আবাসন। ২০১২তে বেশ কিছু প্রবাসী বাঙালির হাত ধরে দেবীর আবাহন হয়েছিল দাক্ষিণাত্যের এই আবাসনে। ক্রমে শারদোৎসব এক বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। একাদশ তম বছরে তাই পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীদের মহিষাসুর পালার মাধ্যমে বোধন হয়ে গেল প্রবাসী বাঙালিদের উৎসবের।
উৎসব অবশ্য শুরু হয়েছে মহালয়ার ভোর থেকে দেশের নানা প্রান্তের আবাসিকরা এখানে ‘হুজুগে বাঙালিদের’ সঙ্গেই পা মিলিয়েছিলেন প্রভাত ফেরিতে। সপ্তমিতে গড়বা-ডান্ডিয়াও বাদ থাকবে না। স্থানীয় বাঙালি শিল্পীর গড়া ঠাকুর আর চন্দননগরের আলোতে সেজে উঠেছে অপর্ণা সরোবর।
আয়োজকদের তরফে আসফাক আহমেদ জানিয়েছেন সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিন দুপুরে ভোগের আয়োজনে আবাসিকরা যোগ দিচ্ছেন। থাকছে আবাসিক গিন্নিদের হাতে তৈরি খাবারের স্টল আনন্দমেলাতে। “নিজের শহর ছেড়ে থাকলেও মন যাতে খারাপ না হয় তাই রোল-চাউমিনের মতো স্ট্রিট ফুডের স্বাদও আমরা পুজোতে চুটিয়ে উপভোগ করি,” আসফাক বললেন।
পুজো উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্রোড়পত্রও এখানে প্রকাশিত হয়। থাকে বাংলা বইয়ের স্টলও। অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ত্রিপুরার বাসিন্দা তথা তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী অভিজিৎ ভট্টাচার্য বললেন, “প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সৃজনশীল ভাবনা সব মিলিয়ে মনেই হয় না যে বাড়ি ছেড়ে প্রবাসে রয়েছি পেশার তাগিদে।” বিজয়াতে সিঁদুর খেলার আয়োজনও থাকছে অপর্না সরোবর পুজোতে।