কাজল মিত্র
:- শনিবার আসানসোল বিএনআর মোড়ের রবীন্দ্র ভবনে টিএমসি সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে জাতীয় সংহতি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।এদিন তিনি বিজেপিকে একহাত টেনে ধরলেন। তিনি বলেন যে সম্প্রতি এনআইএ মুর্শিদাবাদে আল-কায়েদার ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর,বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের কৈলাস বিজয় বর্গিয়া আরোপ করেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চরমপন্থীদের আশ্রয় দেয় এবং পশ্চিমবঙ্গকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে।এবং নাশকতার ঘটনা চালাতে তারা রাজ্যে এসেছেন।এদিন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন যে বিজেপি শুধুই ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে রাজ্যে তার অস্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝে গেছেন । অন্যদিকে, কৃষি বিলের বিরোধিতা করে তিনি বলেন যে, সমস্ত রাজনৈতিক দল ভারতবর্ষে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। এই কৃষি বিল কৃষকদের হত্যার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।কৃষকদের পুঁজিপতিদের কাছে ক্রীতদাস করে রাখার বিল, সুতরাং বিলটি কোনওভাবেই পাস করা যায় না
তাছাড়া সিদ্দিকুল্লা সাহেব নাম না করে বলেন, এখন হায়দ্রাবাদ থেকে একটি পাখি উড়ে এসে বাংলাই বসতে চাইছে।ওড়াটা সহজ কিন্তু ডিম দেওয়া টা সহজ নয়। 40 বছর ধরে এখানে আছি।লোকের মনের মধ্যে তাই বসতে হবে
।এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির কৃষক বিরোধী বিলের নিন্দা করে তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার সাধারন গরিব মানুষ সহ সকল চাষীদের আত্ম হত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে আর পুঁজিপতিদের ইন্ধন যোগাচ্ছে ।
ভারতবর্ষ এখন একটা ক্রাইসিস এর মধ্যে দিয়ে চলছে। এই মোদি শেষে দেশকে বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাবার ষড়যন্ত্র করছে তাছাড়া আর কিছুই না ।কিন্তু
গোটা ভারতে খুঁজলেও
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মমতা ব্যানার্জির মত নেতৃত্ব পাওয়া যাবে না এটা জোর গলায় বলতে পারি।তিনিশিক্ষার খেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলেন।
এদিন এই সভায় গোলাম সরোয়ার, শতলজ রাহাত, বশিমুল হক, নাসিম আনসারী, গির্জা,গুরুদারা উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে কবি রাহাত ইন্দোরিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।