হিমাদ্রি স্পেশালিটি কেমিক্যাল লিমিটেড ‘ইকোভাডিস’প্ল্যাটিনাম পদক লাভ করেছেবিশ্বব্যাপী মূল্যায়ন করা শীর্ষ ১% কোম্পানিকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়

Spread the love

হিমাদ্রি স্পেশালিটি কেমিক্যাল লিমিটেড ‘ইকোভাডিস’প্ল্যাটিনাম পদক লাভ করেছে
বিশ্বব্যাপী মূল্যায়ন করা শীর্ষ ১% কোম্পানিকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়

কলকাতা:স্পেশ্যালিটি কেমিক্যালের ক্ষেত্রে বিশ্বেরশীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিমাদ্রি স্পেশালিটি কেমিক্যাল লিমিটেডকে বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত, স্থায়িত্বরেটিংপ্রদানকারী সংস্থাইকোভাডিস কর্তৃক মর্যাদাপূর্ণপ্ল্যাটিনাম পদক প্রদান করা হয়েছে। এই কৃতিত্ব ইকোভাডিস কর্তৃক বিশ্বব্যাপী মূল্যায়ন করা ১,৩০,০০০ এরও বেশি কোম্পানির মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানকে শীর্ষ ১% স্থানে থাকার স্বীকৃতি প্রদান করল।

রাসায়নিক শিল্পে স্থিতিশীলতার অগ্রদূত হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে, এই প্রতিষ্ঠান পরিবেশ,সমাজ এবং প্রশাসনিক- এই সব ক্ষেত্রের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থায়িত্ব-স্তম্ভে ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতাদেখিয়েছে। বাণিজ্যিক প্রশাসনের সর্বোচ্চ মান প্রদর্শন থেকে শুরু করে স্বচ্ছ শক্তিকে আপন করে নেওয়া এবং সবুজ রসায়নের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরি পর্যন্ত, হিমাদ্রি ধারাবাহিকভাবেদায়িত্বশীলব্যবসায়িক অনুশীলনের সীমানা প্রসারিত করে চলেছে।

এই ফলাফল এবং কর্মদক্ষতা সম্পর্কে মন্তব্য করেহিমাদ্রি স্পেশালিটি কেমিক্যাল লিমিটেডের সিএমডি এবং সিইওশ্রী অনুরাগ চৌধুরী বলেন: “আমাদের স্থায়িত্বেরএই যাত্রাটি অসাধারণ ছিল। আইএফসিওয়াশিংটন,ডিইজি জার্মানি এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বিশ্বব্যাপী বেসরকারি ইকুইটিসংস্থাদের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ফলে, গত পনেরো বছর ধরে আমাদের কোম্পানিরপ্রাণকেন্দ্রেইএসজি অনুশীলনগুলি প্রোথিত হয়েছে। এর ফলে, মাত্র দুই বছরের অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের রেটিংসিলভার থেকে প্ল্যাটিনামে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।

এই স্বীকৃতি স্থায়িত্ব এবং উদ্ভাবনের প্রতি হিমাদ্রির অটল প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ার এই সাম্মানিক স্বীকৃতি পেয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিতএবং আমরা উদ্ভাবন,স্থায়ী সমাধান গ্রহণ এবং সকলের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠনের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।”

বিগত বছরগুলিতেহিমাদ্রি তার স্থায়ীত্ব অর্জনেরলক্ষ্যমাত্রায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে:

  • বিশ্বজনীনদায়বদ্ধতা: জাতিসংঘের গ্লোবাল কম্প্যাক্টের স্বাক্ষরকারী হওয়া এবংবিশ্বব্যাপী স্থায়ীউন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিচালন সম্পাদন করা।
  • ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জনের লক্ষ্য।
  • হিমাদ্রির ‘নেট জিরোপ্রতিশ্রুতি’ এবং স্বল্প ওদীর্ঘমেয়াদীকার্বনমুক্তিকরণ পরিকল্পনাগুলি SBTi (বিজ্ঞানভিত্তিক লক্ষ্য অর্জনের উদ্যোগ)- এর সঙ্গেসামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং কঠোরভাবেনিয়ম মেনে চলার মাধ্যমেবাণিজ্যিক প্রশাসনের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা এবং সমস্ত কার্যক্রম এবং লেনদেনে স্বচ্ছতা,দায়বদ্ধতা এবং সততা নিশ্চিত করা।
  • ব্যাটারি পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগ্রাসীভাবেঅগ্রসর হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদীস্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য তাপ এবং উপাদান পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া।
  • বৈদ্যুতিক শক্তির ১০০%চাহিদা পূরণ করা হয় অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছ শক্তি ব্যবহার করে।
  • ২০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের উপকৃত করা হয়েছে এবং কাঁচা ঘর প্রতিস্থাপন করে ইট-পাথরের ঘর নির্মাণ,শিক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার জল এবং আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে রূপান্তরিত করেছে।
  • কর্মীদের কাজ করার গড় মেয়াদএক দশকেরও বেশিএবং এই শিল্পক্ষেত্রেরযা গড়, তার তুলনায়কর্মচ্যুতিরহার উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

উদ্ভাবন এবং স্থায়িত্বের উপরে মূল জোর দিয়েলিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উপাদানগুলির ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা হিমাদ্রি ৫৪টি দেশের শিল্পক্ষেত্রকেপরিষেবা দিচ্ছে। গবেষণা ও উন্নয়ন, নীতিগতবাণিজ্যিকসুশাসন এবং উৎপাদকেন্দ্রগুলিতেশূন্য-তরল বর্জ্যউৎপাদনে অবিচ্ছিন্ন মনোযোগ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান এক টেঁকসই এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের মানদণ্ড স্থাপন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *