১০ টি মোটরসাইকেল সহ ৭০ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত, লোকপুর ও রাজনগর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
অবৈধভাবে কয়লা পাচার রোধে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ধরপাকড় অব্যাহত । তবুও একশ্রেণীর পাচারকারীরা নিত্যনতুন রাস্তা পরিবর্তন করে কয়লা পাচারে সিদ্ধহস্ত। জানা যায় বীরভূম জেলার সীমান্তবর্তী ঝাড়খন্ড রাজ্যের বিভিন্ন দিকদিয়ে কয়লা ভর্তি মোটরসাইকেল নিয়ে আচমকা এলাকায় ঢুকে পড়ছে। রাস্তার সাথে সাথে পাচারের সময় ও পরিবর্তন করে দেওয়ায় একপ্রকার চোর পুলিশ খেলার মতো চলছিল।লোকপুর থানার ওসি পার্থ কুমার ঘোষ পাচারকারীদের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাতে থাকেন। সেই মোতাবেক রাজনগর থানার ওসি ঝুমুর সিনহার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে দুই থানার সীমান্তবর্তী ঝাড়খন্ড থেকে লোকপুর ও রাজনগর থানার বিভিন্ন রাস্তার উপরে পৃথক পৃথক ভাবে এলাকায় পুলিশের জাল বিস্তার করেন। গভীর রাতে ঝাড়খণ্ড দিক থেকে দশটি মোটরসাইকেল কয়লা ভর্তি অবস্থায় ঝাড়খন্ডের সুদ্রাক্ষীপুর থেকে লোকপুরে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ দেখা মাত্রই কয়লা ভর্তি ছয়টি মোটরসাইকেল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পিছনে থাকা বাকি চারটি মোটরসাইকেল তড়িঘড়ি সেখান থেকেই পিছিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে রাজনগর থানা এলাকায় ঢোকার সময় ফের রাজনগর থানা পুলিশের জমায়েত দেখতে পেয়ে ঘাট বটতলা মোড়ে চারটি মোটরসাইকেল ফেলে পাচারকারীরা গাঢাকা দেয।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বুধবার রাত্রি প্রায় দেড়টা নাগাদ দশজন কয়লা পাচারকারী ঝাড়খন্ড দিক থেকে দশটি মোটরসাইকেল সহযোগে কয়লা নিয়ে বীরভূমের দিকে আসছিল। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়া মাত্র রাজনগর থানার ওসি ঝুমুর সিনহা এবং লোকপুর থানার ওসি পার্থ কুমার ঘোষ যৌথভাবে একযোগে দুটি থানার বিভিন্ন রাস্তার উপর ফাঁদ পেতে অবৈধ কয়লা ভর্তি দশটি মোটরসাইকেল আটক করে। যাহা দুই থানার যৌথ অভিযানে কয়লা পাচার রোধে বড়সড়ো সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। দশটি মোটরসাইকেল থেকে মোট ৭০ ক্যুইন্টাল কয়লা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।