১০ দফা দাবির ভিত্তিতে বাঁকুড়া জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশন নকশালপন্থী সংগঠনের

Spread the love

১০ দফা দাবির ভিত্তিতে বাঁকুড়া জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশন নকশালপন্থী সংগঠনের

নিজস্ব প্রতিবেদক বাঁকুড়া দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীদের দখলে দখলীকৃত বনের জমিতে পাট্টা ও পর্চার দেওয়ার ব্যবস্থা। গ্রামে গ্রামে সরজমিন তদন্ত করে জমির কাগজপত্রের ব্যবস্থা। অবিলম্বে জেলায় সর্বত্র ১০০ দিনের কাজ চালু করা। জেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া কৃষি সমবায়গুলো অবিলম্বে চালু করা। গ্রামে গ্রামে শিবির করে চাষীদের কাছ থেকে সরকারি দরে ধান সহ সব ধরনের ফসল ক্রয় করা। রাজ্যে এসআইআর চালুর আগেই সকলকে প্রয়োজনীয় কাগজ রাজ্য সরকারকেই সরবরাহ করা এরূপ দশদফা দাবি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয় ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সিপিআইএম এল লিবারেশন, আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ সহ কয়েকটি গণসংগঠনের উদ্যোগে। এদিন বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে জেলা বনদপ্তর সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা বলেন
দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী দের দখলিকৃত বনের জমিতে পাট্টা ও পরচা দিতে টালবাহানা হচ্ছে। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের তাতকানালি সহ বেশ কিছু গ্রামে এবং বিষ্ণুপুর এর ঘুটবনে তফসিলি জাতি – উপজাতির বেশ কিছু মানুষ বহু বছর ধরে জমি ভাগে নিয়ে চাষ করছে। কিন্তু এখন তারা উচ্ছেদ সহ নানান মামলার সম্মুখীন হচ্ছে। মিড ডে মিল এর কর্মীরা সরকার নির্ধারিত নুন্যতম ১২ মাসের মজুরি সহ বোনাস থেকে বঞ্চিত। বিষ্ণুপুর সহ জেলার তিনটি পৌরসভার সাফাই মজদুরদের এখন পর্যন্ত পি এফ – ই এস আই চালু হয়নি। পাশাপাশি তারা নুন্যতম মজুরিও পাচ্ছে না।কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রাজনীতির সংঘাতের ফলে গরীব মানুষেরা ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত। এস আই আর এর মধ্য দিয়ে রাজ্যের সংখ্যালঘু সহ দলিত মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বি জে পি র সরকারের চক্রান্ত ব্যার্থ করতে প্রয়োজনীয় কাগজ রাজ্য সরকার কেই সরবরাহের দায়িত্ব নিতে হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন চিকিৎসক সোমরাজ মুখার্জি, বাঁকুড়া কোটের আইনজীবী অভিষেক বিশ্বাস, মহিলা নেত্রী তিতাস গুপ্ত, আদিবাসী নেতা সহদেব টুডু, শ্রমিক নেতা ভাস্কর সিনহা, সিপিআইএম এল লিবারেশন এর জেলা সম্পাদক বাবলু ব্যানার্জী, ফারহান হোসেন খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *