৩৪ বছরে খেলা বন্ধ হয়ে গেছিল,মমতা ব্যানার্জি আবার খেলাকে জাগিয়ে তুলেছেন, অনুব্রত মন্ডল
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজ থেকে খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছে।যুব সম্প্রদায় মোবাইলে ব্যস্ত। তাদের মাঠমুখী করতেই ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয় বলে কমিটির বক্তব্য। বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোট আটটি দলকে নিয়ে নক আউট ফুটবল খেলা শুরু হয় গত ২৮ শে অক্টোবর।মঙ্গলবার চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় মুখোমুখি হয় বীরভূম জেলার কাঁকরতলা মানা-আক্তার-সেলিম ফুটবল দল বনাম পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ার শ্যাম মেটালস ফুটবল দল। খেলা ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা।দর্শক সমাগমে তিলধারণের জায়গা ছিল না। শেষ পর্যন্ত কাঁকরতলা মানা- আক্তার-সেলিম ফুটবল দল ১- ০ গোলের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষিত হয়।বিজয়ী দলের হাতে নগদ একাশি হাজার টাকা ও ট্রফি এবং বিজিত দলের হাতে নগদ একষট্টি হাজার টাকা ও ট্রফি প্রদান করা হয়।এছাড়াও ম্যান অব দ্যা ম্যাচ,ম্যান অব দ্যা সিরিজ, বেস্ট গোলকিপার সহ বিভিন্ন বিভাগে কৃতি খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তৃণমূল জেলা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ,রাজ্য যুব তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত সাহা,খয়রাশোল ব্লক তৃনমূল কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল কুমার গায়েন ও মৃনালকান্তি ঘোষ এবং দুই সদস্য উজ্জ্বল হক কাদেরী ও কাঞ্চন দে, সমাজসেবী সেখ জয়নাল,কেনিজ রাসেদ,কামেলা বিবি প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন গত ৩৪ বছরে খেলা বন্ধ হয়ে গেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলাকে আবার জাগিয়েছেন। গ্রামের মানুষজন এখনো খেলাকে ধরে রেখেছেন। খেলা উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বড়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই খেলার মাঠে স্টেডিয়াম গড়ে দেবার আবেদন জানান। সেক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল আশ্বাস দেন কিভাবে করা যায় আলোচনা করে দেখছি। উল্লেখ্য এদিন খেলা পরিচালনা তথা রেফারীর ভূমিকায় ছিলেন কোলকাতা থেকে আগত মৌমিতা অধিকারী।