৫২’তে বুকের রক্ত দিয়ে লেখা বাঙালির পাল্টে যাওয়ার সেই ইতিহাস আজকের বাংলাদেশঃ প্রফসর ড. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান

Spread the love

৫২’তে বুকের রক্ত দিয়ে লেখা বাঙালির পাল্টে যাওয়ার সেই ইতিহাস আজকের বাংলাদেশঃ প্রফসর ড. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান

কাজী নূর।। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফসর ড. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন ‘একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে বুক ফুলিয়ে মায়ের ভাষায় কথা বলা। একুশ আমাদের গর্ব। একুশ আমাদের অহঙ্কার। একুশ মানে খালি পায়ে প্রভাতফেরির দিন। শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। বাঙালি চেতনায় অনড় থাকার শপথের দিন। একুশ মানে বাঙালির দামাল ছেলেদের ভাষার জন্য রক্ত দেয়ার ইতিহাসের নাম। একুশের চেতনার জন্ম হয়েছিল এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে। প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনের পর ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গোটা ভারতবর্ষকে দুই ভাগ করে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়।’ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ’ (বিএসপি) যশোর আয়োজিত একুশের কবিতা পাঠ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রন্টু।

স্বাগত বক্তব্যে ড. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ‘মায়ের ভাষার জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন, রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, আউয়াল, শফিউর- বাংলা মায়ের অমর ছেলেরা। বুকের রক্ত দিয়ে তারা লিখে গেছেন বাঙালির পাল্টে যাওয়ার নতুন ইতিহাস। সেদিনের সেই বাংলা ভাষার দাবি থেকেই আজকের বাংলাদেশ। একটি ভাষা আন্দোলন কিভাবে একটি দেশকে স্বাধীনতার পথ দেখাল তার মর্ম অনুভব করতে হবে। বাঙালি জাতির অহংকার এই একুশের চেতনা বুঝতে হলে আমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।

বিশিষ্ট অতিথির বক্তব্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি যশোরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদুল হাসান বুলু বলেছেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় অন্যায়ভাবে উঁচুতলার জন্য উর্দু এবং গরীবের মেঠো ভাষা বাংলাকে চিত্রিত করা হয়। বাংলা ভাষার অবমূল্যায়ন এবং বিকৃতি নিয়েও আশংকা প্রকাশ করেন মাহমুদ হাসান বুলু।

বিএসপির সহ- সভাপতি আমির হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজনের জীবনী পাঠ করে শোনান কবি নূরজাহান আরা নীতি। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখায় অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রন্টুকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্যবাহী যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোট যশোরের সাবেক সভাপতি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, যশোর সরকারি সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, আবৃত্তিজন ড. সবুজ শামীম আহসান, জেলা শিল্পকলা একাডেমি যশোরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের সাবেক উপ- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল খালেক, মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ডা. মোঃ মোকাররম হোসেন, কবি নাঈম নাজমুল।

বিএসপির সাধারণ সম্পাদক কবি গোলাম মোস্তফা মুন্না’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কবি কাজী নূর, রাজ পথিক, সঞ্জয় নন্দী, সাবেক সভাপতি আবু দাউদ মোসলেহ উদ্দীন রতন, সুরাইয়া শরীফ, ডা. আহাদ আলী, অ্যাড. মাহমুদা খানম, রাশিদা আখতার লিলি, শাহরিয়ার সোহেল, খাদিজা ইতু, ফাতিমা পারভীন, অমল কান্তি সরকার, এম এ কাসেম অমিয়, নজরুল ইসলাম, বাবুল তরফদার, শরিফুল আলম, রশীদ শিমুল, বকুল হক, শরীফ হোসেন ধীমান, হাজরী লাল সরকার, এএফ এম মোমিন যশোরী, সানজিদা ফেরদৌস, এসএম তাসনিম মেঘ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *