শ্যামল রায়,
সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বেসরকারি বাসে মাস্ক না পরেই চলাফেরা করছেন যাত্রীরা।
করোণা পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মাস্ক পরে বাসে চলাফেরা করার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষিত। অথচ যাত্রীদের সুবিধার জন্যই জেলার সমস্ত পথে বেসরকারি বাসের সাথে চলছে সরকারি বাস।
মঙ্গলবার কালনা কাটোয়া মহকুমার সমস্ত রাস্তায় দেখা গেল বেসরকারি প্রচুর বাস যাতায়াত করছে এবং যাত্রীদের ভিড় দেখা মিলছে। কিন্তু বাস চালক এবং কন্টাকটার খালাসিদের মুখে মাস্ক যেমন দেখা মিলছে না তেমনি যাত্রীদের কাছেও মাস্ক এবং হাতের গ্লাভস করতে দেখা যায়নি। কিন্তু জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে বাসে চললে অবশ্যই মাস্ক করতে হবে কিন্তু এই নির্দেশ উপেক্ষিত।
এদিন কালনা বাসস্ট্যান্ড থেকে যত বেসরকারি বাস এবং পূর্বস্থলী হেমাতপুর থেকে বেসরকারি বাস বর্ধমান যাবার বা কালনা যাবার কাটোয়া যাবার বাস গুলোতে দেখা গেল যাত্রীদের মুখে মাস্ক নেই। বাস চালক এবং কন্টাকটার খালাসিদের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। তাই আতঙ্কিত সকলেই। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তবুও যারা তাদের সুবিধার্থে বাসে চলাফেরা করছেন কিন্তু তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
যদিও অনেকে যাত্রীদের সচেতনভাবে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পড়ার বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত এবং নজরদারি বাড়ানো উচিত। মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য নয় মুখে পড়ার জন্য সেই ব্যবহার অনেকটাই এখন উঠে গিয়েছে।
পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে যৌথ নজরদারি অভিযান চালানো উচিত তাহলেই সম্ভব করোনা সংক্রমণ হাত থেকে রেহাই পাওয়া।
সরকারি বাসে এই নিয়ম মানা হলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন রুটে মাস্ক করছেন না যাত্রীরা। কালনা বাস স্ট্যান্ড থেকে কমপক্ষে দুই শতাধিক বাস এবং কাটোয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে দেড় শতাধিক বাস বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করে থাকে। মুখে মাস্ক না পড়েই যাতায়াত করছেন বলে অভিযোগ।
যদিও জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক রজত নন্দা জানিয়ে দিয়েছেন যে প্রতিটি যাত্রীকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আমরা বাস সংগঠন কে বারবার এ বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি তবে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে বাসের চালক থেকে শুরু করে সকলকে মুখে মাস্ক আবশ্যক কেউ ব্যবহার করছেন কিনা আমরা অভিযান চালাব পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।