মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
; এই মুহূর্তে মঙ্গলকোটে খাতা-কলমে করোনা পজিটিভ সংখ্যা দশের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যব্যাপী সার্বিক লকডাউনের চিত্র মঙ্গলকোটে আংশিক দেখা গেলেও রয়েছে চোরা আতঙ্ক। বিগত কয়েক মাসে অর্থাৎ পরিযায়ী শ্রমিকদের এখানে আসার পর থেকে কোন স্থানীয় থানার পুলিশি এবং ব্লকের প্রশাসনিক তৎপরতা আগে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ৷ ফলস্বরূপ যেসব এলাকায় প্রথম পর্যায়ে করোনা পজিটিভ মিলেছিল। সেইসব এলাকায় সময়ের ব্যবধানে পুনরায় মিলছে করোন আক্রান্তের খবর। ঠিক এইরকম একটি ঘটনায় উদাহরণ দেখা যায় মঙ্গলকোটের সদর শহর নুতনহাটে। এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ আসার পর আক্রান্ত কে দুর্গাপুরে কোভিড হাসপাতাল এবং আক্রান্তের সপরিবার কে বর্ধমান শহরে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে এই নিয়ে যাওয়ার পর্বে দুই – তিন দিন স্থানীয় হাসপাতাল সহ পুলিশ প্রশাসনের যে গাফিলতি দেখা গিয়েছিল। তা রীতিমতো এলাকাবাসীদের কাছে ক্ষোভের কারণ ছিল বলা যায়। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গুলি বিশেষত মঙ্গলকোটের নুতনহাট এ.কে.এম উচ্চবিদ্যালয় এবং কাশেমনগর উচ্চবিদ্যালয়ে শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোন আহারের আয়োজন কিংবা থাকবার পরিকাঠামো ছিল না পুলিশ প্রশাসনের তরফে । ফলস্বরূপ অনেকেই স্কুলের প্রাচীর টপকিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এদের সিংহভাগ করোনার জন্য লালারস পরীক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই পুলিশি ও প্রশাসনিক গাফিলতির জন্য মঙ্গলকোটে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তরদের সংখ্যা। সেই শুন্য থেকে দশের কাছাকাছি তাও খাতা-কলমে। গণহারে টেস্ট করালো এই সংখ্যা সেঞ্চুরি পার করেও যেতে পড়ে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। যেখানে মঙ্গলকোটের নুতনহাট এলাকায় সর্বপ্রথম করোনা পজিটিভ দেখা গিয়েছিল।একদা করোনা আক্রান্ত ‘করোনা যোদ্ধা’ হয়ে ফিরে এলেও সেই এলাকাতেই মিলেছে পুনরায় করোনা পজিটিভ। দাবি, এলাকাবাসীরা বারবার ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের ফোন করলেও কোন তৎপরতা দেখা যায়নি এলাকাটি সিল করার ব্যাপারে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার দুপুরে নুতনহাটের বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন কোঁরা পাড়ায় এলাকাবাসীরা নিজেরাই করোনা পজিটিভের বাড়ির সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিলো। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা বন্ধ করাতে উদ্যোগীদের প্রশংসা করে আক্রান্ত পরিবারের জরুরি জিনিসপত্র আনাতে স্থানীয়দের দায়িত্ব দিয়ে যান বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ। এখনও মঙ্গলকোটের শাসকদলের দলীয় অফিস গুলিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যে সমাগম ঘটে, তাতে করোনা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার সর্বাত্মক যে লকডাউনে চলার রাজ্য সরকারের প্রয়াস। তা নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্নচিহ্ন দেখা যায়।