চুরির কয়েক ঘন্টায় উদ্ধার দামি বাইক
মোল্লা জসিমউদ্দিন
চোরেদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। অথচ একসময় চুরি – ছিনতাইয়ের অবাধ মুক্তাঞ্চল ছিল এই মঙ্গলকোট। গত সোমবার দুপুরে মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এক বেসরকারি ব্যাংকের সামনে চুরি হয় আপাচি মডেলের দামি বাইক। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ রবিউল হকের এই বাইক চুরির কথা বিকেলে জানতে পারে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। সাথেসাথেই ওই এলাকার রাস্তার সামনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ গুলি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে পুলিশকর্মীরা। ঘটনাস্থলের ৫ বর্গকিমির আওতায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজের মধ্যে চোরের সুত্র দেয় অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুতে থাকা সিসিটিভি টি। সেইসব সিসিটিভির ফুটেজ স্থানীয় পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট হয়। সিভিক – ভিলেজ পুলিশ কর্মীদের মধ্যে উঠে আসে বিভিন্ন সুত্র । মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কর্মী চন্দন মন্ডল ওসির নির্দেশ পেয়েই হানা দেন ঝিলু গ্রামে। সেখানেই পাকরাও হয় বাইক চুরির মূল পান্ডা সাদ্দাম সেখ। থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাদ্দাম সেখ জানায় – ” নেশার টানেই সে লক্ষাধিক টাকার নুতন বাইক টি সীমান্তবর্তী বীরভূম জেলার পুরন্দপুরে এক ব্যক্তি কে মাত্র পনেরো হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। পাশাপাশি এই টাকার সিংহভাগ সে আবার পুরনো দেনা মিটিয়েছে “। সোমবার রাতেই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ নানুর থানা কে অবগত করে ওই চোরাই বাইক টি উদ্ধার করে আনে। মঙ্গলবার দুপুরে গাড়ি মালিকের হাতে তুলেও দেওয়া হয়। চুরির কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভিন জেলা থেকে উদ্ধার দামি বাইক! তা বিশ্বাস করতেই পারছেনা অনেকেই। অথচ কয়েক সপ্তাহ পূর্বে সাইকেল থেকে মোটরসাইকেল। আবার মোবাইল সেট থেকে ডাম্পার। সবকিছুই চুরি হচ্ছিল মঙ্গলকোটের বিভিন্ন প্রান্তে। স্থানীয় থানার পুলিশের প্রতি একপ্রকার অনাস্থা তৈরি হচ্ছিল এলাকাবাসীদের মধ্যে। থানায় কেউ সেভাবে যেতেও আগ্রহী ছিল না পুলিশি নিস্ক্রিয়তায়। তবে গত দু’সপ্তাহে চোরেদের বিরুদ্ধে লাগাদার সাফল্য পায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। দশের বেশি মোটরচালিত ভ্যানো উদ্ধার। এক মহিলা মোবাইল চোর কে গ্রেপ্তার করে চুরি যাওয়া মোবাইল গুলি উদ্ধার। সর্বশেষ ঝাড়খণ্ড এর পাঁকুড় এলাকার এক আন্তরাজ্য গাড়ির স্টেপনি চোরেদের টিম কে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলকোট পুলিশ।