প্রণব বাবুর লাইভ মূর্তি করার অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, ভাস্করশিল্পী নিরঞ্জন প্রধান

Spread the love

সেদিন রাস্ট্রপ্রতি প্রণব মুখার্জির লাইভ মূর্তি করে আত্মতৃপ্ত শিল্পী নিরঞ্জন

মোল্লা জসিমউদ্দিন


বাঙালির গর্ব প্রাক্তন রাস্ট্রপ্রতি প্রণব মুখার্জি প্রয়াণে  শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। শুধু দেশ নয় বিদেশেও প্রণব বাবুর প্রয়াণে ব্যর্থিত রাস্ট্রনায়কেরা। এমন এক ব্যক্তিত্ব কে নিয়ে স্মৃতিমগ্ন অনেকেই। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রথম সারির ভাস্কর শিল্পী নিরঞ্জন প্রধান তুলে ধরলেন তাঁর অতীতে কিছু স্বর্ণময় মুহুর্ত। কলকাতা নিবাসী এই শিল্পীর ভাস্কর্য নিদর্শন দেশের পাশাপাশি বিদেশেও সমাদৃত। যখন রাস্ট্রপ্রতি পদে রাইসিনা হিলের বাসিন্দা প্রণব মুখার্জি। তখন হঠাৎই একদিন রাস্ট্রপ্রতি ভবন থেকে ডাক পান নিরঞ্জন বাবু। প্রবীণ ভাস্কর শিল্পী তখন বাঙালি আবেগে টগবগিয়ে। তাও বিশ্বখ্যাত জীবিত ব্যক্তির মূর্তি। হাত তো কাঁপারই কথা!  রাস্ট্রনায়কের চোখের ছাওনি পড়লে হাত তো এমনিও কাঁপবে?  কিন্তু তা হয়নি। একজন মাটির মানুষের সন্ধান পেয়েছিলেন শিল্পী।সেসময় রাস্ট্রপ্রতি ভবনে   বাঙালি আতিথ্যতায় ভরপুর সাতদিন কেটেছে তাঁর   । পাঁচ দশক ধরে ভাস্কর শিল্পী হিসাবে স্বনামধন্য নিরঞ্জন প্রধান টানা ৫ দিন ত্রিশ মিনিট ধরে সামনে প্রণব বাবু কে মূর্তি গড়াতে পেয়েছিলেন। মাটির মূর্তি টি কলকাতা থেকেই দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাকি টার্চ ফিনিশিং এর জন্য প্রণব বাবুর সাথে কাটাবার সময় মিলেছিল৷ মূর্তির রঙ খয়েরি করার প্রস্তাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কালো রঙের হয়। মূর্তি উদঘাটনের দিন সপরিবারে রাস্ট্রপ্রতি ভবনে ছিলেন ভাস্কর শিল্পী নিরঞ্জন প্রধান। আজ নেই প্রণব বাবু, আছে সেই মূর্তি। সেইসাথে মূর্তি গড়ার স্বর্নময় মুহূর্তগুলি রয়েছে শিল্পীর হৃদয় জুড়ে। যা বাঙালি আবেগে অমর হয়ে থাকবে অনন্তকাল। যতই হোক দেশের এক নম্বর নাগরিকের সম্মান পেয়েছেন বাঙালির গর্ব প্রণব মুখার্জি।                                                                        

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *