সৌগুন জহার মাঞ্চহি বাবা
সম্বর্ধনায় মৎস্যমন্ত্রী
খায়রুল আনাম (সম্পাদক সাপ্তাহিক বীরভূমের কথা)
বোলপুর-শান্তিনিকেতন থেকে ইলামবাজার যাওয়ার পথে ইলামবাজারের আদিবাসী অধ্যুষিত আমখই গ্রাম। যে এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানেই রয়েছে ফসিল পার্ক। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম হলেও, ত্রিশ ঘর জনবসতির এই গ্রামের প্রতিটি ঘরেই পৌঁছে গিয়েছে শিক্ষা এবং বিদ্যুৎ বাতি দুই-ই।
এমনই একটি আদিবাসী প্রধান গ্রামে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সৌগুন জহার মাঞ্চহি বাবা বা মাঝি হারাম সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ তাঁর নির্বাচন ক্ষেত্রের ১২ টি অঞ্চলের ১৬৮টি আদিবাসী গ্রামের ২৮৮ জনকে সম্বর্ধিত করলেন। মন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। মঞ্চে আদিবাসী প্রথায় পাতার টুপি পরিয়ে সকলকে বরণ করা হয়। এদিন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ রাজ্য সরকার আদিবাসী সমাজের যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার যে সব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তারমধ্যে আদিবাসীদের শিক্ষা, খেলাধূলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ছাত্রদের সাথে সাথে ছাত্রীদেরও বিশেষ মর্যাদা দিয়ে তাঁদের জন্য কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। আদিবাসী লিপি অলচিকির মাধ্যমেও পড়াশোনা শুরু করা হয়েছে। অতীতের রাজ্যের বাম তথা সিপিএম সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একইভাবে মানুষকে প্রতারণা করে চলেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে দলিত কন্যাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করার পরে জ্বালিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। যা সারা বিশ্বের কাছে এদেশকেই লজ্জিত করে। তাই, সেইসব অশুভ শক্তির থেকে নিজেদের রক্ষা করার এবং সচেতন থাকার আহ্বানও তিনি জানান। এই গ্রামের গৃহবধূ তথা আশা কর্মী রাসমণি মুর্ম্মু জানান, তাঁরা এই জঙ্গলপূর্ণ এলাকাতে বসবাস করলেও, নিরাপদেই বসবাস করতে পারছেন ।।
ছবি : অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী।