মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানে শারদোৎসব হয়ে আসছে । এ বছরও করা হয়েছে। তবে আগেকার মত সেই মন্ডপ ঘেরা উচ্ছ্বাস নেই এবার। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আকারে। যতটুকু না করলেই নয় ততটুকুই। এবছর পুজো উপলক্ষ্যে যা অর্থ সংগৃহিত হয়েছে, তার বেশীর ভাগটাই উদ্যানের শ্রীবৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গেছে ।সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্ফানে বিধান শিশু উদ্যানে প্রভুত ক্ষতি হয়েছে। পাঁচিলের একটা বড় অংশ ভেঙ্গে গেছে। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস বা খেলাধূলার জন্য যেসব সেড রয়েছে সেগুলো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। উদ্যানের পূজা কমিটিকে ধন্যবাদ। তাঁরা তাদের পুজোর খরচের অনেকটা বাঁচিয়ে উদ্যানের উন্নয়নে দান করেছেন। প্রসঙ্গত, পুজো বা সরস্বতী পুজো উদ্যান কমিটির অর্থে হয় না। এই দুটো পুজোর জন্য আলাদা কমিটি তৈরী হয় এবং তাঁরা আলাদাভাবে চাঁদা তুলে এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন।এই শাররোদৎসবের অন্যতম আকর্ষণ নবমীর আড্ডা। ঐদিন সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা আমাদের আমন্ত্রণে বিধান শিশু উদ্যানে আসেন। সারাদিন গল্প আলোচনা আর খাওয়াদাওয়ায় হয়।খুব হৈহুল্লোড় আর আনন্দের সঙ্গে দিনটা কাটে। বাঙালি জগতে প্রথিতযশা বিজ্ঞানী, কলমনিস্ট, অধ্যাপক সহ গুণীজনরা এসে থাকেন। কিন্তু এবছর এই অনুষ্ঠানটি করা সম্ভব হবে না বিভিন্ন রকমের সরকারি নিয়মের জন্য ( করোনা স্বাস্থ্যবিধি) । যেসব নিয়ম করা হয়েছে তা অত্যন্ত যুক্তিসজ্ঞত এবং আমাদের সকলকে তা মেনে চলা উচিত। নবমীর এই সুন্দর অনুষ্ঠান না করতে পারার জন্য আমাদের সকলের মন খুব খারাপ। আমাদের নিজেদের কথাবার্তায় বিগত বছরগুলোর সুন্দর স্মৃতির কথা বারবার ঘুরেফিরে আসছে। কিন্তু কিছু উপায় নেই। সামগ্রিক নিরাপত্তার খাতিরে আমাদের এই নবমীর অনুষ্ঠান এ বছরের জন্য বাতিল করতেই হচ্ছে। সব স্বাভাবিক হবে। “আবার আমাদের জীবনের ছন্দে ফিরে আসবে। বিধান শিশু উদ্যান আবার শিশু কিশোরদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে ভালো থাকার চেষ্টা করি” বলে জানিয়েছেন বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার।