সমর্পণ ধ্যানযোগ “মহাশিবির” এর দ্বিতীয় দিন
সুবল সাহা,
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী গুরুতত্ত্ব দ্বারা আয়োজিত মহাশিবির-এর দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববাসীর কাছে ধ্যানযোগের বার্তা বহন করলেন শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামীজি। সকাল ৬টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত তাঁর সরল ও অন্তর্নিহিত বাক্য উপহার পেল সকলে।
মহাশিবির-এর সাফল্য কামনা করে আগেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় ভাই রূপানী শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ধ্যান সংস্কার এর উপকারিতা ও বর্তমান পরিস্থিতিতে ধ্যানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামী ফাউন্ডেশনকে বার্তা পাঠিয়েছেন।
দ্বিতীয় দিনে স্বামীজির মুখ নিসৃত বচনের সার সংক্ষেপ :
- উদাহরণ রাখলেন রাজা জনকের গল্প, যিনি রাজকীয় আরামে বাস করলেও সমস্ত বস্তুবাদী বিষয় থেকে আলাদা ছিলেন।
- আমরা যদি বাইরে ঈশ্বরের সন্ধান করি তবে কীভাবে ভিতরে যাব? আমাদের ‘চিত্ত’ মনোযোগ ভিতরে থাকা উচিত।
- বইয়ের জ্ঞান আমাদের ঈশ্বরকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করলেও ঈশ্বরের অভিজ্ঞতা দেয় না।
- সমর্পণ ধ্যান হল সমস্ত অভিজ্ঞতার জ্ঞান (অনুভূতি)। * সাধু জ্ঞানেশ্বর বলেছিলেন মুক্তি পেতে সহস্রারা চক্রের প্রতি ১০ মিনিটের জন্য মনোনিবেশ করা উচিত।
- আজকাল প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে, কেবলমাত্র একটি মাধ্যম আপনাকে অভ্যন্তরীণ দিকে নিয়ে যেতে এবং নিজের সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
- নেতিবাচক আধ্যাত্মিক শক্তি মানুষকে নীচে নামিয়ে আনে। চিত্তকে সর্বদা উর্ধ্বে রাখতে হবে।
- যে মাধ্যমটি আমার তৃষ্ণা নিবারণ এবং ঈশ্বরের সন্ধান দেয়, আমি তাকেই ঈশ্বর হিসাবে বিবেচনা করি। তিনিই আমার গ্রহণযোগ্যতা উন্মুক্ত করে তাঁর অভ্যন্তরীণ শক্তিগুলি আমার অন্তরে যেতে সহায়তা করেন এবং তখন আমি জানতে পারি ঈশ্বর আমার ভিতরে বিরাজমান।
- মাধ্যম ব্যতীত আমরা অন্তরের ভিতরে যেতে পারি না।
*আপনার যুক্তিবাদী মস্তিষ্ককে কাজে না লাগিয়ে মাধ্যমের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। - আপনি যখন আধ্যাত্মিকভাবে স্বাধীন হন এবং অন্তরের ভিতরে যেতে থাকেন, তখন আপনার আনন্দ ভিতর থেকেই আসে এবং আপনি সুখের জন্য অন্য কারও উপর নির্ভর করেন ন।
- যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি অভ্যন্তরের কম্পনকে জাগ্রত করতে পারছেন, গুরুর শারীরিক উপস্থিতির প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত নয়।
- প্রথমে মন থেকে চিন্তা নিসৃত হয় এবং ‘চিত্ত”
সেখানে মনোনিবেশ করায়। - আত্মাকে খুশী করলে ‘চিত্ত’ আরও শক্তিশালী হয়।
- বিশুদ্ধ চিত্তে গুরুকে দেবতা মানলে ‘গুরুকার্য’ সমাধা হয়।
- আচরণগুণে গুরু সকলের প্রতি ভালবাসা বজায় রাখেন।
- ধ্যানকে শখে রূপান্তরিত করলে তৃপ্তির রাজ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়।
- প্রত্যেকের জীবনে এক ভিন্ন দশা লক্ষ্য করা যায়:
? যিনি অনেক বহু ঈশ্বরের উপাসনা করেন
?যিনি এক এক ঈশ্বরের উপাসনা করেন
?যিনি স্রষ্টা গুরুকে উপাসনা করেন
? যিনি জীবিত গুরুকে প্রার্থনা করেন
? যিনি নিজে গুরুর আসন লাভ করেন
*আত্মার জাগরণের জন্য দেহ, সদ্ গুরু এবং সঠিক সময় একাত্মা হয়ে যায়।
- নিয়মিত ধ্যান অনুশীলন করলে জ্ঞান অন্তঃস্হল থেকেই নির্গত হয়।