খায়রুল আনাম,
করোনা বিধি মেনে শুরু বইমেলা
স্বাভাবিক নয় অনেক কিছুই। তবুও, মানুষ বাঁচছে এবং প্রতিটি মুহূর্তে বাঁচার জন্য লড়াইও করছে। মানুষের জ্ঞান পিপাসা মেটাতে তাই একটা সময় জোরের সাথে বলা হতো–ধরো বই, ওটা হাতিয়ার। জ্ঞান পিপাসা মেটাতে সত্যিই, আজও বই হাতিয়ার। কিন্তু সেই হাতিয়ার হাতে তুলে নেওয়া মানুষের সংখ্যা কমে আসছে ক্রমশই। এটা বলে থাকেন অনেকেই। তবুও, ভীড় বাড়ে বইমেলায়। করোনা আবহে এবার বাতিল হয়েছে কলকাতা বইমেলা। কিন্তু জেলাস্তরের সরকারি পর্যায়ে বইমেলাগুলি শুরু হওয়ায় বইপ্রেমীদের পাঠক্ষুধা মিটছে অনেকাংশে। এমনই আবহ ও পরিস্থিতিতে আজ বুধবার ৬ জানুয়ারি থেকে জেলার পুর শহর রামপুরহাট পুরসভার মাঠে শুরু হচ্ছে ৩৯ তম বীরভূম জেলা বইমেলা। এই বইমেলা চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এবং এলাকার সাংসদ শতাব্দী রায়। রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ড. আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বিকালে বইমেলা উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী এবং জেলা পুলিশসুপার শ্যাম সিং-কে। এবারের বইমেলায় যে ৫০টি স্টল থাকছে, তার মধ্যে ৪৫টি স্টল রাখা হয়েছে পাবলিশার্স অ্যাণ্ড বুক সেলার্সের জন্য। বাকী ৫টি স্টল রাখা হয়েছে গ্রন্থাগার বিভাগ ও কোভিড পরিস্থিতিতে মেডিকেল টিমের জন্য। বইমেলায় প্রবেশ পথের পাশেই অতিরিক্ত জায়গায় থাকছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য পৃথক স্টল। যেখানে বসে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করবেন। করোনা আবহের জন্য এবারের বইমেলায় কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না হলেও, লোক প্রসার শিল্পীরা ছোট আকারের অনুষ্ঠান করবেন। করোনা বিষয়ক একটি আলোচনা সভাও হবে বইমেলায়। সরকারিভাবি বিনামূল্যে দেওয়া হবে প্রচার পুস্তিকাও। বইমেলায় ক্রেতা- বিক্রেতা সকলের জন্যই করোনা বিধি মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই আবহে জেলা বইমেলা কতখানি সফল হবে, সেটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে ।।