মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
;নাবালিকা উদ্ধারে তৎপর পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। গত তিনমাসে দশের কাছাকাছি নাবালিকা উদ্ধার করেছে এই থানার পুলিশ। এতে জেলাপুলিশের কর্তারা এইবিধ মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।গত তিনদিনে তিনজন নাবালিকা উদ্ধার করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। তা আদালতে নির্দেশক্রমে ( গোপন জবানবন্দি নিয়ে)। নুতন বছরের শুরুতেই মঙ্গলকোটের গোতিস্টা অঞ্চলে বামুনারা গ্রামে দুটি নাবালিকা বেপাত্তা হয়ে যায়। নিখোঁজ নাবালিকাদের অভিভাবকরা মঙ্গলকোট থানায় আসেন তাদের সন্তান কে ফিরে পাওয়ার আবেদন নিয়ে। কখনো উত্তম সরকার , আবার কখনো বা তরুন লেট কিংবা প্রণব নন্দীর মত পুলিশ অফিসাররা এই আবেদন গ্রহণ করে ওসি মিথুন ঘোষের দৃষ্টি গোচরে আনেন।এরপরই শুরু হয় নাবালিকা উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশি হয়রানিরও অভিযোগ উঠে নিখোঁজ নাবালিকাদের পরিবারের তরফে ।গোতিস্টার বামুনারার দুটি নাবালিকাদের মধ্যে একজন কে আউশগ্রামে অপরজন কে শান্তিনিকেতন থেকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এই নাবালিকা ফুসলিয়ে ( অপহরণ) মামলায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ সুব্রত মাঝী সহ তার বাবা মা কে গ্রেপ্তার করে থাকে । আবার একই অভিযোগে কুশ পাল কেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে মূল অভিযুক্ত কে পাওয়ার জন্য তাদের বাবা ও মা কে সর্তক করে পুলিশ।তাতে কোন কাজ না হলে নাবালিকা কে দ্রুত উদ্ধারের জন্য অভিযুক্তদেের কে হেফাজতে নেয় পুলিশ।গতবছর ১৯ এবং ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলকোটের গোতিস্টা অঞ্চলে দুটি নাবালিকা নিখোঁজ হয়।দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই অভিযুক্তদের পাকরাও করে নাবালিকাদের উদ্ধার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। গত তিনমাসে দশের কাছাকাছি নাবালিকা উদ্ধারে সাফল্য পায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রব দাস জানিয়েছেন – ” পুলিশের কাছে নাবালিকা সহ শিশু নিখোঁজের অভিযোগ এলেই তা অত্যন্ত গুরত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দেয়। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ নাবালিকা উদ্ধারে যথেষ্ট সফল”।