মোল্লা জসিমউদ্দিন, ১২ মার্চ
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। সেখানে দু তরফের সওয়াল-জবাব চলে।মূলত ক্যাগ তদন্ত চেয়ে এই জনস্বার্থ মামলাটি। আমফান দুর্নীতি নিয়ে যেমন ক্যাগ তদন্তের নির্দেশ জারি হয়েছিল হাইকোর্টে। ঠিক তেমনিভাবেই স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ক মামলায় ক্যাগ তদন্তভার দাবি রেখেছেন মামলাকারীরা।আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের হলফনামা তলব করেছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং অর্থ দপ্তর থেকে আলাদাভাবে হলফনামা টি চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দুজন সমাজকর্মী স্বাস্থ্যসাথীর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছিলেন। অজিত কুমার প্রসাদ সহ আরেকজন সমাজকর্মীর দাখিল হওয়া মামলায় দাবি – ‘ রাজ্য সরকার এই স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পে ১৮৯ কোটি টাকার মত আর্থিক দুর্নীতি ঘটিয়েছে। রাজ্যের ২৩ টি জেলায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস অবধি এই আর্থিক অনিয়ম টি হয়েছে ‘। ঠিক এইরকম দাবি মামলাকারীদের।ক্যাগ কে তদন্ত করবার দাবি রয়েছে মামলার পিটিশনে।রাজ্য সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রাপকদের সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা বিল মেটানোর নির্দেশিকা রয়েছে। মামলাকারীদের দাবি – স্বাস্থ্যসাথীভুক্ত রোগীদের প্রিমিয়ার নিয়ে নেই কোন তথ্য।আর এখান থেকেই যাবতীয় দুর্নীতির তথ্যসূত্র মিলবে।শতকরা ৯০ ভাগ রাজ্যবাসী স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় নেই বলে দাবি।ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কলকাতার একটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসাথী শিবির বিধিনিষেধ মেনে বন্ধ করতে দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসাথীর আর্থিক বরাদ্দকৃত অনুদান কেন্দ্রীয় সরকারের না হলে ক্যাগ তদন্তের দাবি যথাযথ নয় বলে আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন। তবে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্যের তিনটি দপ্তর থেকে আলাদাভাবে হলফনামা চেয়ে যে নির্দেশ জারি হলো,তাতে বিধানসভার ভোটে রাজ্য রাজনীতি আরও একটি নুতন ইস্যু হাতে পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।