খায়রুল আনাম,
চতুর্দিকে বোমা উদ্ধারে জেলায় আতঙ্কের পরিবেশ
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই একের পর এক জায়গা থেকে তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের নানুর বিধানসভা এলাকায় চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক দুই-ই ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে যাতে, সাধারণ মানুষ সন্ধ্যা নামলেই ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন। নানুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে নানুর থানা এলাকা ছাড়াও বোলপুর থানা এলাকার বেশকিছুটা অংশ থাকায় দুই থানাকেই ব্যতিব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এর আগে পাঁচশোয়া এলাকায় একাধিক জায়গা থেকে তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এবার মঙ্গলবার ২৩ মার্চ বাসাপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী তারক সাহা মিছিল করে যাওয়ার সময় সেই মিছিলের উপরে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। হামলার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনদের হাতে বন্দুক ছিলো বলেও অভিযোগ করা হয়। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এরপরই ডাঙাপাড়া এলাকায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে তাজা বোমা। নাইলনের থলি ভর্তি প্রায় ৪০টি বোমা নষ্ট করে দেয় বম্ব ডিসপোজাল টিম। এই ঘটনার জেরে হাটসেরান্দি, সূচপুর, সেহালা প্রভৃতি গ্রামে রাত্রে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। কুড়গ্রামের বিজেপি কর্মী গোরাচাঁদ মণ্ডল জানান যে, রাত্রে তাঁর উপরে হামলা চালিয়ে তাঁর পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। কৃষ্ণা মণ্ডল নামে এক গৃহবধূর অভিযোগ, রাত্রে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে থাকার সময় তাঁকে বিছানা থেকে তুলে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার ২৪ মার্চ সকালেই সিঙ্গি এলাকার বেজড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ৫০টি তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ দুবরাজপুরের নিরাময় যক্ষ্মা হাসপাতালের কাছের একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে ২২টি তাজা বোমা। সব বোমাগুলিই নষ্ট করে দেয় পুলিশ। এদিকে লাভপুরের কনকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার সময় সেখানকার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডলের উপরে ও সিউড়ির পুরন্দরপুরে বিজেপির দলীয় কর্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়ছে। যদিও কোনও ঘটনার সাথেই তাদের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ।।