অন্যরকম রবিপ্রণাম যাদবপুরের বাঘাযতীনে

Spread the love

অন্য রকম রবিপ্রণাম যাদবপুরের বাঘা যতীনে। গান ছিল। নাচ ছিল। সেসব ছাপিয়ে ছিল রক্তদান শিবির। অ্যাথেনা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং গড়িয়া সুচর্চার উদ্যোগে রবিবার বাঘাযতীন শিখা গুহ ভবনে হল এই অভিনব রবি স্মরণ।
এরকম উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে সন্তোষপুরের শর্মিষ্ঠা দাস খুব খুশি। বলছিলেন, “আগেও রক্ত দিয়েছি। কিন্তু এবারেরটা যেন অন্য রকম।” গড়িয়া সাহাপাড়ার মিঠুন মিত্র বলছিলেন, “রবীন্দ্রজয়ন্তীতে এক ঝাঁক কমবয়সীর গান শুনতে শুনতে রক্ত দেওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম।”
উদ্যোক্তাদের অন্যতম বাঘাযতীনের তুহিন বসুর কথায়, “রোজ বাড়ছে করোনার তাণ্ডব। সাধ্যমত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি আমরা। কিন্তু দেখছি বেড, অক্সিজেন, ওষুধের মত রক্তেরও সংকট বাড়ছে।” সার্টিফিকেট তৈরি করতে করতে গড়িয়ার প্রজয় ঘোষ বলছিলেন, “গরমের সময় এমনিতেই রক্তের সংকট থাকে। এবার বিপদ আরও বেড়েছে। করোনা হয়েছে কিংবা ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে অনেকে ইচ্ছে থাকলেও রক্ত দিতে পারছেন না।”
পরিকল্পনাটা আসে অ্যাথেনার কর্ণধার রাজীব দত্তর মাথায়। তিনি বলছিলেন, “এখন রক্ত বেশি দরকার কিন্তু রক্ত দিচ্ছেন কম মানুষ। রোজ সংকটের চেহারাটা চোখের সামনে দেখছি। রবীন্দ্রনাথ শিখিয়েছিলেন, সংকটেরও কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মাণ। তাই তাঁর জন্মজয়ন্তীতেই সাধ্যমত রক্তদানের আয়োজন করার ভাবনা।”
নাট্যসংস্থা গড়িয়া সুচর্চার কর্ণধার নন্দন ভট্টাচার্য বলছিলেন, “অনেকেই সংক্রমণের ভয়ে রক্ত দিতে চাইছেন না। কিন্তু সেই ভয় কাটিয়ে নানা বয়সের নারী-পুরুষ, কম বয়সী-মধ্য বয়সী রক্ত দিয়েছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *