বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জীব বৈচিত্র্য দিবস

Spread the love

খায়রুল আনাম,

 বৃক্ষ রোপনের মধ্য দিয়ে

 জীববৈচিত্র্য দিবস পালন  

       

সারা বিশ্বই এখন আক্রান্ত এক গভীর অসুখে। আর এই অসুখ থেকে নিরাময়ে এখন বিশ্ব জুড়েই মানুষ খুঁজে ফিরছেন অক্সিজেনের সন্ধানে। অথচ, সেই অক্সিজেন যে বৃক্ষ আমাদের অকৃপণভাবে দান করে চলেছে, সেই দাতা বৃক্ষই ছেদন হচ্ছে আমাদের সংহারক হাতে। যার ফল এখন আমরা হাতেনাতে পাচ্ছি।

    সারা বিশ্বকেই এমন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে  ২০১৬ সালে  কেনিয়ায় জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য প্রথম একটি আলোচনা সভা বসে।  পরবর্তীতে   কেনিয়ার নাইব্যুরোতে রাষ্ট্র সঙ্ঘের সম্মেলনে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২০০১ সাল থেকে তা কার্যকরী হয়। যে কর্মসূচীর সাথে নিজেদের যুক্ত করে ভারত সরকার ২০০২ সালে বাইওলজিক্যাল ডাইভারসিটি অ্যাক্ট তৈরী করে  প্রতি বছর ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালন কর্মসূচী  শুরু করে। একদিন স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর স্বপ্নের শান্তিনিকেতনেও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা ও তার পালনের জন্য শান্তিনিকেতনে লিওনাদ এলমহার্স্ট, ডরোথি, দীনবন্ধু এন্ড্রুজের সহায়তায় এবং কালীমোহন ঘোষের  একাগ্রতায় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন।

      সেই শান্তিনিকেতনের পাশেই এবং রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের পত্নী সুধাময়ী দেবীর স্মরণে খনন করা সুধা সাগ

রের  উদ্যানে এদিন বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা রোপণ করে  আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালন করলো বোলপুর পুরসভা। পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ এদিন বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা রোপণ করে এই বার্তাটিও দিতে চেয়েছেন যে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই মুহূর্তে  অক্সিজেন প্রদানকারী বৃক্ষের কতো প্রয়োজন রয়েছে।  এই গাছের ফলে একদিন  বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরাও তাদের প্রাণ ধারণের আহার পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।।                

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *