মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে মালদার এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের গৃহছাড়া হওয়ার মামলা।এদিন বিচারপতি ওই শিক্ষক কে বাড়িতে পৌছানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় গাজল থানার পুলিশ কে। প্রয়োজনে বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানোর নির্দেশিকা রয়েছে বলে জানান মামলাকারী আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল।রাজ্যের তরফে আইনজীবী ছিলেন অয়ন ব্যানার্জি। তিনিও এই নির্দেশিকায় সহমত পোষণ করেন। পাশাপাশি মামলা দাখিলের পর পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছে বলে এজলাসে তিনি জানান।উল্লেখ্য, স্থানীয় মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। সম্প্রতি হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, – তার বাড়ি দখল করে নিয়েছে মাফিয়ারা। জলের পাইপ কেটে দিয়েছে। নিম্ন আদালতের নির্দেশ রয়েছে পুলিশকে সাহায্য করার। কিন্তু তার পরও মালদার গাজল থানার পুলিশ তাকে সাহায্য করছে না। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও মাফিয়ারা তার বাড়ি দখল করে বসে আছে’। মামলাকারীর আইনজীবী বৈদুর্য্য ঘোষাল বলেন, -“এর আগেও উনি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেবার হাইকোর্ট মাফিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে এদের দখল দিতে বলেছিল। হাইকোর্টের সেই নির্দেশও যথাযথভাবে পালন করেনি পুলিশ”।আদালত সূত্রে জানা যায়, মালদার গাজলের বাসিন্দা সুবল চন্দ্র দাস ১৯৮৪ সালে ২৩ শতক জমি কেনেন। অভিযোগ, ২০১৩ সালে সেই জমির রেকর্ড জমি মাফিয়ারা তাদের নামে করে নেয়। পরে আদালতের নির্দেশে রেকর্ড নিজের নামে করেন ওই শিক্ষক। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে জোর করে বাড়ি দখল করে নেয় মাফিয়ারা। সেই থেকে বাড়িছাড়া শিক্ষক ও তার পরিবার। তার ছেলে শ্যামসুন্দর দাস বলেন, -“আদালতের নির্দেশ সত্বেও একেবারে চুপ পুলিশ। আমাদের কোনও সাহায্যই করছে না”। পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সেইসাথে আদালতের নির্দেশিকা হাতে পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এই মামলায় অবিলম্বে ঘরছাড়া শিক্ষক কে বাড়িতে পৌছানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় থানার পুলিশ কে।সেইসাথে প্রয়োজনে পুলিশ পিকেট বসানোর নির্দেশিকা রয়েছে বলে জানা গেছে।এই মামলায় অভিযোগকারী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বৈদুর্য্য ঘোষাল এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী অয়ন ব্যানার্জি।