যে মেয়েটা চুপ থাকে,
সমীরন দাস,
যে মেয়েটা চুপ.থাকে ,তুমি তার নাম জানো
আমি জানি
কোনো এক ছায়ামলিন সন্ধ্যায়
সে একাকী আমার পাশে কানে কানে বলেছিলো
তার নাম মেঘবালিকা
সে মেঘের মতোই গুরু গম্ভীর
যদি ও সে ঠিক তার মত নয়
খোলসের আড়ালে যেমন ঝিনুক
সুপ্তির আড়ালে মুক্ত
আমার মেঘবালিকা ঠিক তার মত
সে হাসলেই মুক্ত ঝরে ,
কথায় কথায় ফুটে ওঠে কুসুম কলি
আর হাঁটলেই
যেন ময়ূর পেখম মেলে বর্ষার উন্মাদনায়
তার খোলা চুল আমাকে দেখিয়েছিলো
বলেছিলো বোলোনা কাউকে
আমার কালো চুলে লাগতে পারে কলঙ্ক
আমিতো কলঙ্ক ভুলে চোখের কাজলে বিভোর
আমি তো সাগর খুঁজেছি তার চোখে
নীল দরিয়ায় যেমন মাঝি হারায় পথ
আমি তো হারায়েছি সব
আমিতো সন্ধ্যার মেঘমালায়
শুনেছি তার সুখ দুঃখের গল্প
যখন তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বলে
আর পাখিরা ফেরে আপন নীড়ে বেলা শেষে
খোঁজে শেষ আশ্রয়
মৌনব্রতী কে বেসেছি ভালো
আমিও তাকে দিয়েছি মনে প্রশ্রয়
আমার মেঘবালিকা
এইভাবে চুপ থেকো ,বলেছিলেম তারে
বলেছিলেম আরো
তুমি হয়ো চঞ্চল , হয়ো উদ্দাম
মনে , প্রেমের বর্ষা এলে ,
আমাকে জড়িয়ে ধরে ।