মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সম্প্রতি ভুয়ো আইএএস থেকে সিবিআই অফিসার ধরা পড়েছে বাংলার বুকে।পাশাপাশি গাড়ীতে নীলবাতি লাগানো তথাকথিত ভিআইপিরাও গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশের হাতে। তবে ভুয়ো সাংবাদিকদের দৌরাত্ম ক্রমশ বাড়ছে ৭ নং রাজ্য সড়কপথে।মূলত রাত বারোটার পর নাম্বারহীন চারচাকা গাড়িতে বড় বড় করে ‘প্রেস’ স্টিকার সাঁটানো গাড়ি করে এরা তোলাবাজি চালাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ। এই সড়কপথ ধরে বীরভূমের পাথর বোঝাই গাড়ি এবং বীরভূম – পূর্ব বর্ধমান জেলার শয়ে শয়ে বালির গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। জানা গেছে, ওই নাম্বার বিহীন প্রেস লেখা গাড়িতে তিন থেকে চারজনের এক দল রয়েছে। যাদের মধ্যে একজন হাতে মোটা ডাইরি এবং বুকে একগুচ্ছ কলম নিয়ে পাথর ও বালি বোঝাই গাড়িতে প্রায় অভিযান চালান।অল্পশিক্ষিত গাড়ির ড্রাইভাররা ঝামেলা এড়াতে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে দেয় বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছে। প্রতারকদের এমন একটা ভাব যে – ‘ওই মোটা ডাইরিতে যেন গাড়ির সিজার লিস্ট বানিয়ে ফেলবে!’ টহলকারী পুলিশদের উপর দাদাগিরিও কম যায়না এইসব প্রতারকদের।জানা গেছে, ৭ নং রাজ্য সড়ক পথের ফুটিসাঁকো থেকে দেওয়ানদিঘি পর্যন্ত এদের সক্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। তবে জেলাপুলিশও সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা নিয়ে এদের ধরবার জন্য ফাঁদ পেতে রেখেছে বলে জানা গেছে। বীরভূমের নানুর সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, ভাতার, দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশরা নিজেদের মধ্যে একপর্যায়ে ‘বিশেষ টিম’ প্রস্তুত রেখেছে বলে নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে ভুয়ো সাংবাদিকদের দৌরাত্ম ক্রমশ বাড়ছে। যারফলে প্রকৃত সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহে নানা প্রতিবন্ধকতা আসছে। দূর দুরান্ত থেকে আসছেন তথাকথিত এইসব সাংবাদিককূল। এরা কারা? এদের দর্শন মেলে গভীররাতে ৭ নং রাজ্য সড়কপথে। মূলত ফুটিসাঁকো থেকে মুরাতিপুর ভায়া মঙ্গলকোটের নুতনহাট এলাকায় এইসব ‘ক্রাইম’ রিপোর্টারদের দৌরাত্ম টা বড্ড বেশি বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। বিভিন্ন সড়কপথে এরা লাইন হোটেলে বিল না মিটিয়ে মদ্যপান করে মাতলামি করেও বলে অভিযোগ।নাম্বার বিহীন গাড়ির সামনে সাইনবোর্ডে লেখা বড় ‘প্রেস’। নিদিষ্ট কোন মিডিয়ার নাম না থাকায় ছাপাখানার প্রেস নাকি খবরের কাগজ পরিবহনকারী প্রেস তা বোঝা বড় দায়! ইদানীং যেভাবে ভুয়ো আইএএস, সিবিআই অফিসার সহ নীলবাতি লাগানো ভুয়ো ব্যক্তিদের সন্ধান মিলেছে তাতে ফুটিসাকো থেকে মুরাতিপুর কারা ঘুরছে রাতের বেলায় তা নিয়ে সঠিক নজরদারি চালিয়ে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র যাচাইয়ের দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন পুলিশি নজরদারি চাইছেন, কেননা ভুয়ো সাংবাদিকদের দৌরাত্মে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসছে প্রতিবন্ধকতা।