আগামীকাল নীলবাতি ও ভ্যাক্সিন মামলার শুনানি

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,


শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে নীলবাতি ও কসবার ভুয়ো ভ্যাক্সিন বিষয়ক মামলা। এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট জমা না পড়ায় পুনরায় আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষে।গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের এজলাসে উঠেছিল দেবাঞ্জন দেব কে নিয়ে মামলা।সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল রাজ্যে কারা নীলবাতি ব্যবহার করে থাকেন তার বিস্তারিত রিপোর্ট ২ জুলাইয়ে মধ্যে তলব করেছিলেন। পাশাপাশি ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব সংক্রান্ত মামলা গুলির তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল।শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলে । যদিও রাজ্যের তরফে রিপোর্ট পেশে সময় চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছে নীলবাতির গাড়ি।শয়ে শয়ে চারচাকায় নীলবাতি ব্যবহার বাংলায় রীতিমতো রেওয়াজ হয়ে উঠছে।’বেশিরভাগ পুলিশের কেউ নীলবাতি লাগানো গাড়ির আইনী বৈধতা জানতে সাহস করেনা।তাই দেবাঞ্জন দেবের মত ভুয়ো আইএএসরা দাপিয়ে বেড়ান’ বলে অনেকেরই দাবি । ওইদিন কলকাতা হাইকোর্টের দেবাঞ্জন দেব সংক্রান্ত মামলায় আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল – ‘ আইএএস হলেই কি নীলবাতি লাগানো যায়? এতবড় জালিয়াতি প্রশাসন অস্বীকার করতে পারেনা? দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত কিভাবে ঘুরে বেড়ালেন? পুরসভার টনক নড়লো না কেন? পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যেই সম্ভব। নিত্যনতুন তথ্য আসছে,তাই মামলা গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।আইএএস হলেই কি নীলবাতি লাগানো যায়?  একজন কলকাতা পুরসভার যুগ্ন কমিশনার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন,তখন পুরসভার কমিশনার কি করছিলেন?  তিনিও চিনতে পারলেন না? ‘ এইভাবেই রাজ্য কে তীব্র ভৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নীলবাতির ব্যবহার নিয়ে রাজ্যের কাছে আবার রিপোর্ট তলব করলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের বেঞ্চ।সেখানে সুপ্রিম কোর্টের মোটরযান আইন অনুযায়ী কারা রাজ্যে নীলবাতি ব্যবহার করার যোগ্য, তা জানতে চাওয়া হয়েছে বর্তমানে কারা নীলবাতি ব্যবহার করছেন তাও জানাতে হবে রাজ্য কে। ২ জুলাইয়ে মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। যা আগামী ৫ জুলাই এর মধ্যে ফের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি জানাতে হবে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব সংক্রান্ত মামলার তদন্ত রিপোর্ট। যদিও রাজ্যের আইনজীবী রিপোর্ট পেশে সময় চেয়েছেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল জানান – ‘ রাজ্যে সংসদের সচিব, রাজ্যের এজি, রাজ্যের অতিরিক্ত সলিটর জেনারেল, রাজ্যের প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের প্রধান পাশাপাশি দমকল – বিপর্যয় মোকাবিলার গাড়িতে নীলবাতি লাগানো যায় ‘। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গাড়িতে অবশ্য  নীলবাতি ব্যবহার করেন না।পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রীরাও নীলবাতি ব্যবহারে দেখা যায়না।সেক্ষেত্রে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব ঘিরে ফের নীলবাতি অপব্যবহারে পর্দাফাস হলো বাংলার বুকে।জানা গেছে, ৭ নং রাজ্য সড়কপথে প্রতিদিন অজশ্র নীলবাতি লাগানো গাড়ি দেখা যায়, উচ্চপর্যায়ের অভিযান চালালে দেবাঞ্জন দেব এর মত আরও অনেককে বোধহয় দেখা মিলবে এই সড়কপথে।শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *