মোল্লা শফিকুল ইসলাম দুলাল,
,
সোমবার বহু চর্চিত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।সাথে ছিলেন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা।এদিন মনোনয়ন পেশে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সাথে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক প্রথম সারির নেতা। ছিলেন একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়াই করা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও। আজ একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা। সেখানে ঢাক-ঢোল নিয়ে কার্যত উত্সবের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিল বঙ্গবিজেপি। আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে বসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, -“এ রাজ্যের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার নির্বাচন ভবানীপুরে। ভোট পরবর্তী হিংসার কথা উল্লেখ করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, যে পরিস্থিতি পশ্চিমবাংলায় কায়েম হয়েছে তা থেকে মুক্ত করতে পদ্মফুলে ভোট দিতে হবে। ভবানীপুরবাসীর উদ্দেশে শুভেন্দুর আবেদন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য আপনারা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। তাই মাস্ক পরে বেরিয়ে এসে ভোট দিন”। এদিন ভবানীপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও মনোনয়ন জমা দেন। তরুণ এই আইনজীবী বলেন, – “এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই সারাবছরের। যেহেতু এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন সেহেতু ভবানীপুরের নির্বাচনটাও সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটা অন্যতম মাইলস্টোন। এই লড়াই চলবে”। বিজেপি অঙ্ক কষে দেখাতে চাইছিল, নন্দীগ্রামে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো সম্ভব হয়েছে তেমন ভবানীপুরেও অসম্ভব নয়। ২০১৯-এর লোকসভায় তৃণমূল-বিজেপির ভোট ব্যবধান, সংখ্যালঘু ভোটের বিন্যাসের তথ্য তুলে গেরুয়া শিবির বোঝাতে চাইছে—যাহা নন্দীগ্রাম তাই ভবানীপুর। বাম-বিজেপির মনোনয়নকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, -“যিনি ভবানীপুরে জিতবেন তিনি শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যাঁরা দ্বিতীয় আর তৃতীয় হবেন তাঁরা সোমবার মনোনয়ন দিলেন”। তবে ভবানীপুরে উপনির্বাচন সর্বশক্তি দিয়ে প্রচার চালাতে চায় বঙ্গ বিজেপি। তা বোঝা গেল এদিনকার মনোনয়ন পেশে।