তালিবান সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের কালো পোশাক
জাহির আব্বাস ,
আফগানিস্তানের মধ্যে তালিবানদের প্রতি মহিলাদের সমর্থন বোঝাতে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা ছাত্রীদের কালো পোশাক পড়ে আসতে হলো।এহেন নিদান ছিল তালিবান নেতৃত্ব এর।যারা তালিবানের আদেশ মানেনি, তাদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, তালিবান ও তাদের ইসলামের ব্যাখ্যা, ছাত্রছাত্রীদের আলাদা কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সিদ্ধান্তের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড তুলে ধরতে হয় ছাত্রীদের।তালিবান আফগানিস্তানে প্রত্যাবর্তনের পর নারী স্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার উল্টো পথেই হাঁটছে। তারা যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে, তাতে একজনও মহিলা নেই। সব অংশের অন্তর্ভুক্তির যে প্রতিশ্রুতি ছিল, তাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নেওয়া হয়েছে একেবারে প্রবল কট্টরপন্থীদের, যারা নেতৃত্বের পুরোপুরি আস্থাভাজন। পাশাপাশি তালিবান ফিরিয়ে এনেছে ন্যয়নীতি প্রতিষ্ঠা ও দুষ্কর্ম রোধ মন্ত্রক, যারা নীতি পুলিশগিরির জন্য কুখ্যাত, যাদের ভয় করে মহিলারা। অতীতে তাদের শরিয়তি ব্যাখ্যার পরিপন্থী আচরণের জন্য এই মন্ত্রকই আফগানদের ধরে নিয়ে গিয়ে নৃশংস শাস্তি দিত। নয়া নিয়মবিধিতে তালিবান মহিলারা ইসলামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছে। এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা মেলেনি। ছেলেদের সঙ্গে এক ঘরে না বসার শর্তে মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে পারবে। কোএডুকেশন নিষিদ্ধ হয়েছে। ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়াশোনার ব্য়বস্থায় ইতি টানায় কোনও অন্যায় হয়েছে বলে মনে করে না তালিবান। এতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই, দেশবাসী মুসলিম, তারা এটা মেনে নেবে, বলেছেন তালিবান সরকারের এক মন্ত্রী। এই মাসের গোড়ায় তালিবান অবশ্য বলেছিল, মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও পড়তে পারবে, যদি মুখের বেশিরভাগটা নিকাবে ঢাকা থাকে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পর্দার আড়াল থাকে। তবে টোলো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সবচেয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যটি করেন তালিবান মুখপাত্র সইদ জেকরুল্লা হাসিমি। তিনি স্পষ্ট বলেন, কোনও মহিলা মন্ত্রী হতে পারে না। মন্ত্রিত্ব এমন একটা বস্তু যার ভার সে বইতে পারে না। তাদের মন্ত্রিসভায় থাকার প্রয়োজন নেই। তারা শুধু সন্তান প্রসব করুক। মহিলা প্রতিবাদীরা গোটা আফগানিস্তানের নারী সমাজের প্রতিনিধি নয় বলেও দাবি করেন তিনি।কুড়ি বছর আগেকার তালিবান আর এখনকার তালিবানদের কোন পার্থক্য নেই বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।