উত্তরপ্রদেশের আগামী বিধানসভায় ‘সাবধানী’ কংগ্রেস
সাধন মন্ডল,
, গত ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির সাথে আসন সমঝোতা করে মাত্র ৭ টি আসন পেয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস। তাই আগামী বিধানসভার নির্বাচনে অর্থাৎ ২০২২ সালে ৪০৩ আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে যথেষ্ট সাবধানী কংগ্রেস। গত ২০১৭ সাল থেকে দলের সাংগঠনিক শক্তির ক্ষয় হচ্ছে ক্রমশঃ। এই প্রেক্ষাপটে উত্তরপ্রদেশের জন্য জিতেন্দ্র সিংকে চেয়ারম্যান করে স্ক্রিনিং কমিটি গঠন করলেন সনিয়া গাঁধী । কমিটির সদস্য করা হয়েছে রাজ্যসভা সাংসদ দীপিন্দর সিং হুডা, মহারাষ্ট্রের দলীয় বিধায়ক বর্ষা গায়কোয়াড়কে। কমিটির এক্স অফিসিও সদস্য হয়েছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, রাজ্য কমিটির সভাপতি অজয় কুমার লাল্লু, দলের বিধান পরিষদীয় দলের নেতা আরাদনা মিশ্র। উত্তরপ্রদেশ থেকে এআইসিসি-র সব সচিবকেও এক্স অফিসিও সদস্য করা হয়েছে। তিন দশক বাদে হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস। এবার তারা কোনও দলের সঙ্গে জোট না করে একাই লড়বে। সনিয়ার তৈরি কমিটির দায়িত্ব নির্বাচনের প্রার্থীতালিকা ঝাড়াই বাছাই করা। গত সপ্তাহেই টিকিট প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রার্থী হওয়ার আবেদনপত্র আহ্বান করে। দিনকয়েক বাদে দলের উত্তরপ্রদেশ শাখা আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে ১১ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। লাল্লুর দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব আবেদনকারী আবেদনপত্রের সঙ্গে জেলা বা রাজ্যস্তরের সংশ্লিষ্ট নেতার কাছে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১১ হাজার টাকা ডোনেশন পাঠাবেন। নির্বাচনের ব্যাপারে সত্যিই সিরিয়াস নন, এমন লোকজনকে দূরে রাখতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। গত বুধবার প্রশিক্ষণ সে পরাক্রম মহাঅভিযান শিরোনামে দ্বিতীয় দফার ট্রেনিং কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রায় ৩০ হাজার দলীয় কর্মীকে নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ দিতে ১০০টি শিবির করবে কংগ্রেস। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই উদ্যোগ চলবে।এখন দেখার আগামী বছরে দেশের সবথেকে বড় রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে থাকতে পারে কিনা?