সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হলো সার্টিফিকেট,
মনিষা ধোঁক
বহু অমর সঙ্গীত শিল্পীর ধাতৃভূমি হলো এই সোনার বাংলা। কর্মব্যস্ত জীবনে আজও তাদের গাওয়া গান শুনে মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মাঝখানে সঙ্গীত চর্চায় কিছুটা ভাঁটা পড়লেও ধীরে ধীরে আবার সঙ্গীতের প্রতি নব প্রজন্মের একটা আকর্ষণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে সঙ্গীত শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাছে তালিম নিচ্ছে। আগ্রহ দেখে কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্র। পূর্ব বর্ধমানের নতুনহাটে গড়ে ওঠা এরকমই একটি সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্র হলো 'বাসন্তী কলা কেন্দ্র'।
বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তথা সঙ্গীত শিক্ষিকা তৃণা মুখার্জ্জীর হাত ধরে ২০২২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেখানে বিভিন্ন বয়সীর (৫-১৬) প্রায় পঁচিশ জন ছাত্রছাত্রী সঙ্গীত শিক্ষা লাভ করে। প্রথা মেনে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে 'সুরভারতী কলা কেন্দ্র'-এর সহযোগিতায় এদের জন্য সঙ্গীত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
৬ ই আগষ্ট প্রত্যেক সফল ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট ও একটি করে। সঙ্গে উপহার হিসাবে প্রত্যেকে একটি করে চকলেট পায়। জানা গেল রবীন্দ্রসঙ্গীত আদ্য ও প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা এই সার্টিফিকেট পেয়েছে।
এগুলো হাতে পেয়ে ঈশান চক্রবর্তী, রানী মন্ডল, শিল্পা মণ্ডল, জয়িতা সাহা, নবনীল সাঁই গুইন, প্রিয়া পাল, শিপ্রা গোস্বামী, অনিকেত সাহা, জয়শ্রী মন্ডল, শ্রদ্ধা মুখার্জ্জী, শুভশ্রী ঘোষ, অনন্যা সাঁতরা, রুদ্র মন্ডল, সুতপা মন্ডল, শ্রেয়া ঘোষাল, গোপাল ঘোষ, অঙ্গনা সাহারা খুব খুশি। এমনকি তাদের অভিভাবকরাও খুব খুশি।
সঙ্গীত শিক্ষিকা তৃণা মুখার্জ্জী ছাড়াও তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার সুপরিচিত তবলা শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ডলি মুখার্জ্জী সহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
অভিভাবক শুভদীপ চক্রবর্তী বললেন - আমার বাচ্চার গান শেখার ইচ্ছে খুব। আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তৃণার গান শুনেছি। ওর বাবা আমার পূর্ব পরিচিত। আমার এবং আরও কয়েকজনের দাবিকে সম্মান জানিয়ে তৃণা এখানে গানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। ওর মত শিক্ষিকাকে পেয়ে আমাদের বাচ্চারা খুব খুশি।
বিশিষ্ট দূরদর্শন ও বেতার শিল্পী সুতপা ভট্টাচার্যের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে তার সুযোগ্যা ছাত্রী তৃণা এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছে। উচ্চশিক্ষিতা তৃণা নিজেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যানেলে সঙ্গীত পরিবেশন করেছে।
তৃণা দেবী বললেন - এইসব বাচ্চাদের মধ্যে প্রতিভা আছে। অল্প সময়ের মধ্যে তারা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে তাতে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রত্যেকেই উপস্থিত শ্রোতাদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে।