ক্রিয়াযোগ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা
প্রণব ভট্টাচার্য:-হাওড়া
মনিকর্ণী আখ্যানের উদ্যোগে ক্রিয়াযোগ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হল সাঁকরাইলে। কর্তৃপক্ষের তরফে জুলাই দাস মুখার্জি জানান, পত্রিকার তরফে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিছুদিন আগে। আজ তারই পুরস্কার বিতরণ হল। মোট পঁয়ত্রিশ জন শিশুর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় । মন্দিরের বার্তা যেন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের মানুষ ক্রিয়া যোগের বিষয় জানুক এটাই আমরা চাই। গ্রামের মানুষকে বোঝাবার জন্যই আজকের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চাই গ্রামের লোক এই যোগ বিষয়ে চর্চা করুক।মন্দিরে নিয়মিত আসুক। গুরুজীর টানেই এখানে এত লোকজন সমবেত হয়েছেন ।ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে আরো বড় আকারে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আগত অভিভাবকরা এদিন উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ক্রিয়াযোগ নিয়ে তারা বলেন,শিশুদের মনঃসংযোগ বাড়াতে এই যোগ বিশেষভাবে সাহায্য করে। কাজে আগ্রহ বাড়ায়।শরীর -স্বাস্থ্য- মন ভালো রাখে।শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও এই যোগ নিয়মিতভাবে অভ্যাস করে থাকেন বলে জানা যায়। সংসার সামলে যতটা সম্ভব তাঁরা এই চর্চায় শামিল হন বলে জানান।এই যোগাভ্যাস রোগ প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়ক বলে তারা মনে করেন । পনেরো জন শিশু নিয়ে এই যোগাভ্যাস ক্লাস শুরু হয়েছিল।বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ জনে।দুটি ভাগে বিভক্ত করে এখন ক্লাস হচ্ছে।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক শুভঙ্কর মুখার্জি জানান, ক্রিয়াযোগ প্রাচীন একটা যোগ। এই যোগ প্রায় লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। লাহিড়ী মহাশয়ের মাধ্যমে এই যোগ আবার ফিরে এসেছে ।যোগী সত্যমজি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন ইউ টিউবের মাধ্যমে। পশ্চিমবাংলায় যাতে এই যোগের আরো প্রচার- প্রসার ঘটে সেটা আমাদের আন্তরিক চাওয়া।পত্রিকার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি সমন্বয়ের পত্রিকা। সর্ব ধর্ম নিয়ে নিয়ে এখানে লেখা প্রকাশ হয়। ক্রিয়াযোগের মাধ্যমে আজ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সামিল হল এই পত্রিকা।