ভারতীয় ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্রের প্রথম জনক গঙ্গাকিশোর কে নিয়ে প্রকাশিত হল পুস্তক”উপেক্ষিত নায়ক গঙ্গাকিশোর”
লেখক পুলক মন্ডলের গবেষণা ধর্মী বইটির প্রকাশক ভাষাপথ
রাজকুমার দাস,
তিনি প্রথম বাঙালি মুদ্রাকর, প্রকাশক, ছাপাখানা স্থাপক, প্রথম সচিত্র বাংলা বইয়ের প্রকাশক, পুস্তক বিক্রেতা এবং তিনিই প্রথম শুধু বাংলা ভাষা নয়, যে কোন ভারতীয় ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্রের সম্পাদক। তিনি গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য। উনিশ শতকের শুরুতে নবজাগরণকালের সেই ঊষালগ্নে কলকাতা থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরবর্তী সাবেক বর্ধমানের পূর্বস্থলীর অখ্যাত গ্রাম বহড়া’র বাসিন্দা এক সাধারণ যুবক গঙ্গাকিশোর ব্রিটিশ শাসিত ভারতের রাজধানী কলকাতাকে করে তুলেছিলেন গ্রন্থনগরী।
গঙ্গাকিশোরের কোন ছবি ও তাঁর সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র ‘বাঙ্গাল গেজেটি’র কোন কপি পাওয়া যায়নি।।
সমকালে গঙ্গাকিশোর সেভাবে কোন মর্যাদা পাননি! কোন অভিমানে তিনি কলকাতার মূল সাহিত্য-চর্চা থেকে সরে এসে তাঁর মুদ্রাযন্ত্রটি নিয়ে চলে এলেন কলকাতা থেকে বহুদূরে নিজবসতবাটি প্রত্যন্ত বহড়া গ্রামে? তাঁর মৃত্যুর পরও কেমনভাবে চালু ছিল তাঁর ছাপাখানা? দেশি-বিদেশি ভাষায় প্রকাশিত তৎকালীন পত্রপত্রিকাগুলিতে কি লেখা হয়েছিল তাঁর সম্পর্কে সেসব তথ্যপ্রমাণ হাজির করার চেষ্টা করা হয়েছে লেখক পুলক মন্ডলের ‘উপেক্ষিত নায়ক গঙ্গাকিশোর” বইটিতে।
যতদূর জানা গেছে ‘উপেক্ষিত নায়ক’ বইটিই এযাবতকালে এককভাবে গঙ্গাকিশোরকে নিয়ে লেখা প্রথম প্রকাশিত বই। বাংলা সংবাদপত্রের জনক, বাংলা সাহিত্যের ভগীরথ গঙ্গাকিশোর সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী সেইসব উৎসুক পাঠক-গবেষক-এর কাছে এই বই বেশ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে।
এই পুস্তক টি কলকাতা প্রেস ক্লাবে প্রকাশিত হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে।উপস্থিত ছিলেন
কথা সাহিত্যিক ও আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক রাম কুমার মুখোপাধ্যায় , বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অনিল আচার্য , প্রাক্তন তথ্য সংস্কৃতি অধিকর্তা নীতিশ ভট্টাচার্য , কবি সুদীপ চক্রবর্তী এবং লেখক পুলক মণ্ডল , সঞ্চালক রূপে ছিলেন ভাষাপথ সম্পাদক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
অনুষ্ঠানে সকল অতিথিকে বরণ করে নেন কালনা সাহিত্য মজলিস এর আহ্বায়ক চন্দন দত্ত ৷