জোড়াসাঁকো রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির আয়োজনে আগমনী অনুষ্ঠান
বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র ক’রে আপামর বাঙালী মেতে ওঠে শরৎঋতুর আবাহন থেকেই। এ যেন দূরবাসিনী কন্যার দিনকয়েকের জন্য আপন মায়ের ঘরে ফেরার উৎসব। বাংলা সাহিত্যেও এর নিদর্শন মেলে বিভিন্ন লেখায়, প্রবন্ধ, কবিতা, গান ও গল্পের মাধ্যমে। শারদীয়া মহাপূজা শুরুর বেশ আগে থেকেই বাংলায় আগমনী গানের প্রচলন ছিল – যে গানের মধ্য দিয়ে শরৎঋতুর অপরূপ প্রকৃতি বর্ণনার সাথে আসন্ন দুর্গাপূজার দেবীমাহাত্ম্য কথন সহ সুরে সুরে গাওয়া হত। এই ভাবনা মাথায় রেখে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি একটি উচ্চাঙ্গমধুর আয়োজন করল সোসাইটির শিল্পী সদস্য/সদস্যাদের নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সোসাইটির প্রশস্ত লাইব্রেরি ঘরে। রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত, দাশরথি রায়ের গান সহ পুরাতনী গান, ভক্তিগীতি, তার সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীত, বঙ্কিমচন্দ্রের গান এবং তাঁদের কবিতা, লেখা প্রবন্ধ থেকে তুলে ধরা অংশবিশেষ নিয়ে স্ত্রোত্র,গান, কবিতা, ভাষ্য সহযোগে অসামান্য এক সংকলন “আগমনীর আবাহনে” পরিবেশিত হল ভরা দর্শকের উপস্থিতিতে। একের পর এক বিষয় সাজিয়ে গান, কবিতা, কথার মালা বুননে তথ্যলিপি প্রস্তুত করেন মানসী ভট্টাচার্য্য। গানের পর্বটির পরিচালনা করেন শ্রীমতী ললিতা সিনহা। মার্কণ্ডেয় পুরাণ থেকে দুর্গাস্ত্রোত্র পাঠ ও গান পরিবেশন করেন শ্রীমতী ললিতা সিনহা ও হিমাদ্রী মুখোপাধ্যায়। একক ও সমবেত সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন – শম্পা গুহ রায়চৌধুরী, ছন্দা দত্ত, জয়শ্রী দে, বিজয়া নায়ক, ইন্দ্রাক্ষী দত্ত, রুবি ব্যানার্জী, পার্থজিত সেনগুপ্ত, বিশ্বনাথ দাস, তরুণ মুখার্জী, হিমাদ্রী মুখার্জী, ললিতা সিনহা ও মানসী ভট্টাচার্য্য। একক কবিতা, গান সহ ভাষ্যপাঠে মুন্সীয়ানার পরিচয় রাখেন মানসী ভট্টাচার্য্য। অনিন্দ্যসুন্দর এক যৌথ পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটি হয় ওঠে শ্রুতিমধুর সর্বাঙ্গসুন্দর। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ও সহ-সভাপতি বিচারপতি সৌমিত্র পাল মহাশয়।