গড় রাইপুরের ঐতিহ্যমন্ডিত দুর্গাপুজো চাঁন্দু ডাঙ্গা গ্রামের মা মহামায়া মন্দিরের পুজো
সাধন মন্ডল,
এই পুজোকে কেন্দ্র করে অতীতে রাইপুর এলাকার ৮-১০ কিলোমিটারের মধ্যে মানুষের মধ্যে একটি উন্মাদনাছিল কারণ এই একটিমাত্র পুজোই ছিল এখানের মানুষের আনন্দ উৎসবের স্থল। বর্তমানে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এলাকায় মূর্তি পূজা শুরু হয়েছে তাহলেও চাঁন্দু ডাঙ্গা গ্রামের মা মহামায়া মন্দিরের পুজো তার ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। সেখানে উল্লেখ্য এই পুজোতে এখনো রাজবাড়ীর বংশধরদের প্রাধান্য রয়েছে। অষ্টমীর দিন রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে পুজোর নৈবেদ্য ও পাঁঠা নিবেদন করা হয়। ষষ্ঠীর দিন বিকেলে হরিহর গঞ্জগড় রাজবাড়ি থেকে সুসজ্জিত শোভাযাত্রা সহকারে রাজলক্ষ্মী কে মহামায়া মন্দিরে নিয়ে আসা হয় দশমী পর্যন্ত এই মন্দিরে রাজলক্ষ্মী দুর্গা রূপে পূজিত হন ,আবার দশমীর দিন বিকেলে মর্যাদা সহকারে সুসজ্জিত ভাবে শোভাযাত্রা সহকারে কাঁসর ঘণ্টা ও হরিনাম সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে হরিহর গঞ্জগড়ের রাজবাড়ীতে ফিরিয়ে আনা হয় আজ ছিল সেই দিন। এই উপলক্ষে চান্দু ডাঙ্গা গ্রাম থেকে হরিহর গঞ্জগড় রাজবাড়ি পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভি ড় উপচে পড়েছিল ।প্রায় দশ হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছিল এই শোভাযাত্রা উপলক্ষে ।শোভাযাত্রা টিকে সুশৃংখল ভাবে পরিচালনা করতে রাইপুর থানা পুলিশ প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলেন কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য রাইপুর থানার আইসি সুপ্রিয় রঞ্জন মাজি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দেন।আজ সকালেই রাইপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রায় যাতে কোন রকম বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য সতর্ক করে মাইকিং করা হয় এবং কোনরকম শব্দবাজি যাতে ফাটানো না হয় তার ও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। রাজলক্ষ্মী কে ঘোড়ায় গাড়িতে চাপিয়ে রাজবাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। দশমীর দিন দুপুরে মহামায়া মন্দির প্রাঙ্গনে দুর্গা পুজো কমিটির উদ্যোগে নর নারায়ন সেবা র আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে প্রায় দশ হাজার মানুষ দুপুরের প্রসাদ গ্রহণ করেন। রাজ পরিবারের বংশধর হরিপদ সিংহ দেব বলেন মা মহামায়ার পুজ ো মূলত রাইপুর রাজবাড়ির পুজো। রাজবাড়ির বংশধরদের বর্তমানে দৈন্যদশা তাই বর্তমানে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এই পুজো সার্বজনীন এর রূপ নিয়েছে।