এস সিসি এফ এর আয়োজনে উপচে পড়া ভিড়ে চিত্র প্রদর্শনী শেষ হলো আইসিসিআর এ

Spread the love

এস সিসি এফ এর আয়োজনে উপচে পড়া ভিড়ে চিত্র প্রদর্শনী শেষ হলো আইসিসিআর এ


নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা আইসিসি আরে যামিনী রায় আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হলো “সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচার ফাউন্ডেশন” এর বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী ২৩, ।। কলকাতা বাসিরা জানালেন গ্রাম এবং মফস্বল থেকে আসা শিশু শিল্পীদের ছবিগুলো দেখে উপলব্ধি করা যায় তাদের মধ্যে প্রকৃতি কতটা বেঁচে আছে। মফস্বলের বা গ্রামের বাচ্চারা প্রকৃতিকে নিয়ে কাজ করতে বেশি ভালোবাসে এবং কপি ছবিতে তারা অভ্যস্ত নয়।।চিত্র প্রেমীদের ভিড়ে উপছে পড়েছিল প্রথম দিন থেকেই।। শেষের দিন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত চিত্রশিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের হাতে প্রশংসা পত্র ও স্মারক তুলে দিলেন সম্মানীয় অতিথিরা।অনুষ্ঠানে অতিথির আসন অলংকৃত করেছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী তপন রায়, চিত্রশিল্পী দেবপ্রসাদ হাজরা, চিত্রশিল্পী, স্বপ্ন পূরণের কর্ণধার ও চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর সমাদ্দার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট তালবাদ্য শিল্পী এবং সুরকার পন্ডিত মোল্লার ঘোষ, চিত্রশিল্পী গৌতম দাস এবং বিশিষ্ট কবি বাচিক শিল্পী ও অভিনেত্রী মল্লিকা ঘোষ।। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্মানীয় অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করেন “সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন” এর সদস্যরা। অতিথিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন শিল্পীদের প্রতি। দেবপ্রসাদ হাজরার বক্তব্যে মূল কথা ছিল কোন ছবি কপি করে আঁকা উচিত নয়, ভালো ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার ধারাকে অনুসরণ করা যায় কিন্তু অনুকরণ কখনোই নয়।। তপনবাবু জানালেন এই ধরনের প্রদর্শনী শিশু মনে ভালো ছবি আঁকার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিল। দীপঙ্কর বাবু বললেন অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আপনার বাচ্চা যখন ছবি আঁকবে কখনোই তার ছবিকে খারাপ বলে নিরুৎসাহিত করবেন না এবং অন্যের ছবির সঙ্গে তুলনা করে তোমার ওর মত হচ্ছে না কেন এ কথা কখনোই বলবেন না। অতিথি গৌতম দাস, মল্লার ঘোষ এবং মল্লিকা ঘোষ এর বক্তব্যে উঠে এলো মূলকথা সংস্থার চেয়ারম্যান অমিত দাস এর প্রচেষ্টায়” সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন” যেভাবে চিত্রশিল্পীদের এবং অন্যান্য শিল্পীদের উৎসাহ দিতে প্রদর্শনী ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছে তাতে প্রত্যেক শিল্পীরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে ও উৎসাহ পাচ্ছে, সর্বাগ্রে অমিত দাস এর এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।।এই প্রদর্শনীতে ২০০ জন চিত্রশিক্ষক ও তার ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিল। শিক্ষকদের সাথে সাথে ও শিশু শিল্পীরা যথেষ্ট ভালো ছবি একে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে।।চিত্রশিক্ষকদের অসাধারণ জলরং, পেন্সিল, তেল রং এবং এক্রিলিক পেইন্টিংয়ে র অপূর্ব নিদর্শন লক্ষ্য করা গেল। যেমন অমিতাভ গুপ্তর ঘন্টা ছবিটি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের নিসর্গ চিত্র, সায়ন মজুমদারের মা কালী, শিল্পী মৌমিতার সেতার শিল্পী, রাজিব সাধুখানের ফুল, বিশ ভানু শিল্পীর সেলুন, চন্দন পালের ডান্ডিয়া প্রত্যেকের ছবিগুলি বেশ দৃষ্টিনন্দন।। এছাড়াও প্রশংসার দাবি রাখে বিদ্যা দাস, নন্দিনী সাউ, প্রদ্যুন্য নায়েক, সৌরিক মাহাতো, সুমেধা সোম, তুষার পান্ডে, সমৃদ্ধা ব্যানার্জি, অমিত প্রজাপতির কাজগুলো ব্যতিক্রমী।। প্রদর্শনী কক্ষে ছবিগুলো আরেকটু অর্গানাইজড ভাবে সাজালে হয়তো আরো ভালো লাগতো এবং জায়গা অনুযায়ী ছবির সংখ্যা অনেকটাই বেশি লক্ষ্য করা গেল। তবে আইসিসিআর যামিনী রায় আর্ট গ্যালারিতে যে সমস্ত শিশু শিল্পীদের ছবি স্থান পেল তারা এতে অনেকটাই অনুপ্রাণিত হল এ কথা হলপ করে বলা যায়।।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেছেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এক কথায় তিনদিনের এই চিত্র প্রদর্শনী ও শেষ দিনের অনুষ্ঠান চমকপ্রদ। এই ধরনের উৎসাহ মূলক কাজ আগামী দিনে অনেক শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করবে একথা বলা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *