পূরণ করা হলো মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
পৌষমেলার মাঠ পরিষ্কার করে দাবি রাখা হলো বসন্তোৎসবের
খায়রুল আনাম
বহু বিতর্কের মধ্যে দিয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহকে মর্যাদা দিয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যবাহী শন্তিনিকেতনের পৌষমেলার দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিলো বীরভূম জেলা প্রশাসনের হাতে। স্বল্প সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসন বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে সাত পৌষ থেকে পাঁচ দিনের পৌষমেলা সম্পন্ন করে। সাত পৌষ কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি এবারের পৌষমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের পৌষমেলার উদ্বোধন করে এর সাফল্য কামনা করেছিলেন।
পাঁচ দিনের এবারের পৌষমেলা শেষ হওয়ার পরে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিলো, মেলা শেষ হওয়ার পরে পৌষমেলার মাঠ সম্পূর্ণভাবে খালি করে তা পরিচ্ছন্ন ভাবে বিশ্বভারতীর হাতে তুলে দেওয়া কী আদৌ সম্ভব হবে ? কিছু ব্যবসায়ী এবং তাদের পিছনে থাকা এক শ্রেণির পুরনো অভ্যেসের ভাঙামেলার মৌরসীপাট্টারদের তখত ভেঙে প্রতিশ্রুতি মতো নির্দিষ্ট সময়ে পৌষমেলার মাঠ পরিচ্ছন্ন করে তা বিশ্বভারতীর হাতে তুলে দিতে রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ঝাঁটা হাতে ‘কেজরিওয়াল’ হয়ে কয়েকশো লোকজন নিয়ে পূর্বপল্লির মাঠে নামলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ ফায়েজুল হক কাজল। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো তাঁরা পূর্বের চেয়েও অধিক মাত্রায় পৌষমেলার মাঠকে পরিচ্ছন্ন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে শেখ ফায়েজুল হক কাজল আগামীর মুখবন্ধটিও করে রাখলেন। তিনি এদিন আশা প্রকাশ করে বলেন যে, এবার আমরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রেখে বলতে পারবো যে, আগামীতে শুধুমাত্র পৌষমেলাই নয়, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসবের দায়িত্বভার রাজ্য সরকারের হাতে দেওয়া হোক। জেলা প্রশাসনকে নিয়ে বীরভূম জেলা পরিষদ বসন্তোৎসবও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর থাকবে।।
ছবি : পৌষমেলার মাঠ পরিষ্কারে সভাধিপতি।