ভাতাড় মাধব পাবলিক হাইস্কুলের শতবর্ষ পালন

Spread the love

সেখ মিলন (ভাতাড়, পূর্ব বর্ধমান)
প্রথমে যখন বিদ্যালয়ের গড়ে তোলা হয় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো এমন ছিল না । আস্তে আস্তে সরকারের প্রচেষ্টায় এবং এলাকার মানুষদের সহযোগিতায় আজ বিদ্যালয়ের রূপ পাল্টিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভাতাড় একটা প্রতিষ্ঠিত নাম। তৎকালীন সময়ে স্বর্গীয় ভোলানাথ সেন ভাতারকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ।গ্রামীণ এলাকায় যেখানে অগ্নি নির্বাপক কেন্দ্র ও থানা ছিল না। ভাতাড়ের মাটিতে থানা ও ফায়ার ব্রিগেড গড়ে তুলেছিলেন ভোলা বাবু ।পরবর্তী সময়ে ভাতার বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক বিধায়ক বনমালী হাজরা, ভাতাড়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা নিয়েছিলেন । বর্তমানে বিধায়ক মান গোবিন্দ অধিকারী ও ভাতাড়ের উন্নতির জন্য লড়ে যাচ্ছেন। বিধানসভায় ভাতাড়ের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা নিচ্ছেন বর্তমান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। ভাতাড় মাধব পাবলিক হাই স্কুলের শততম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান থেকে একথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পাশাপাশি ভাতাড় মাধব পাবলিক স্কুলে পানীয় জলের সমস্যা মিটানোর ক্ষেত্রে ভাতারের বামশোর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর সাহেব ৫০ হাজার টাকা শতবর্ষ উদযাপন কমিটির হাতে তুলে দেন, তাঁর এই উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। জানা গেছে ভাতার মাধব পাবলিক হাই স্কুলে শততম বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার থেকে আগামী তিনদিন নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রি স্বপন দেবনাথ, ছিলেন ভাতাড়ের বর্তমান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী, শতবর্ষ কমিটির সভাপতি পরেশনাথ হাজরা, সম্পাদক অশোক কুমার হাজরা , প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীবৃন্দ থেকে শুরু করে এলাকার গুণীজনেরা। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বর্তমান রাজ্য সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে নানান উন্নয়নের কর্মকান্ড মানুষের সামনে তুলে ধরেন । পাশাপাশি ভাতাড়ের বিধায়ক মান গোবিন্দ অধিকারী শতবর্ষ উদযাপন কমিটির অবদানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এবং ভাতাড় মাধব পাবলিক হাই স্কুলের পঠন-পাঠন নিয়ে অভিভাবকদের তোলা নানান অভিযোগের কথা শিক্ষকদের স্মরণ করিয়ে দেন। স্কুলের শিক্ষকদের মানবিকভাবে পঠন-পাঠনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়ার বার্তা দেন বিধায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *