সেখ মিলন ( ভাতাড়, পূর্ব বর্ধমান)
নিহত তৃণমূল কর্মীর স্মরণসভা ভাতাড়ে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড় ব্লকের স্বর্ণ চালিদা গ্রামে নিহত তৃণমূল কর্মী টোটন মল্লিকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হলো বুধবার। ভাতাড়ের সাহেবগঞ্জ ১ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে নিহত তৃণমূল কর্মীর স্মরণ সভা উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২০১০ সালের ১০ই জানুয়ারী বানপাশ শিক্ষানিকেতন স্কুলে অভিভাবক নির্বাচনে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় নিহত হন তৃণমূল কর্মী টোটন মল্লিক। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ভাতাড়ের স্বর্ণ চালিদা গ্রামে বুধবার যথাযত মর্যাদায় নিহত তৃণমূল কর্মীর স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। দলীয় পতাকা উত্তোলন ও নিহত তৃণমূল কর্মীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ভাতাড়ের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এদিন নিহত টোটন মল্লিকের স্মৃতিচারণা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। স্মরণসভা উপলক্ষে শতাধিক অসহায় ব্যক্তিদের হাতে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নিহত টোটন মল্লিকের স্ত্রী সাগরি মল্লিকের হাতে উপহার ও আর্থিক সাহায্য করেন বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এদিনের স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাতাড়ের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী, ভাতাড় ব্লক অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাসুদেব যশ, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মধ্যক্ষ শান্তনু কোনার, সহ অন্যান্যরা। তবে এদিনের স্মরণ সভা থেকে বাম জমানার পুলিশকে আক্রমণ শানান বিধায়ক। বিধায়ক বলেন, টোটন মল্লিকের মৃত্যু নিয়ে তৎকালীন সময়ে পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে টোটন মল্লিক নিজের বোমে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সিপিএম নেতারা বলেন পুলিশ এখন দলদাস। তাহলে সিপিএমের জামানায় পুলিশ কি ছিল? সেই সময় পুলিশ সিপিএমের ঝাণ্ডা ধরত। এখন পুলিশ অনেক মানবিক। পাশাপাশি ইনসাফ যাত্রা নিয়ে বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জিকে আক্রমণ করেন বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তিনি আরো বলেন, সিপিএমের অত্যাচার মীনাক্ষী মুখার্জি জানেন না । তাঁর বয়স কত হবে ? তাদের ইনসাফ যাত্রার বদলে ক্ষমাযাত্রা করা উচিত ছিল। অন্যদিকে রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোনার বলেন, টোটন মল্লিকের মতো সহস্র তৃণমূল কর্মীর আত্ম বলিদানের বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা । তাদের আত্মবলিদান এর কথা আমাদের ভুললে হবে না ।সেই সমস্ত শহীদ পরিবারের কথা সর্বক্ষণ মনে রাখতে হবে।
ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, আমরা শহীদ পরিবারের পাশে সর্বদায় আছি । তাঁর স্ত্রীকে সমবায় সমিতিতে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে টোটন মল্লিকের পরিবার সহযোগিতা পাচ্ছেন। আগামী দিনেও আমরা টোটন মল্লিকের পরিবারের পাশে থাকবো।