উন্মোচিত হলো ‘মহুল’ পত্রিকার মোড়ক
নীহারিকা মুখার্জ্জী
একজন তাঁত শিল্পী যেমন একটা একটা করে সুতো নিয়ে অসাধারণ শিল্পকর্মের নিদর্শন রাখেন তেমনি সেই ভাবনার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলা কাব্য জগতে নিজস্ব মৌলিক ভাবনার ছাপ রেখে যাওয়ার জন্য এবং নবীন কবি-প্রতিভাদের কাব্যচর্চায় উৎসাহিত করা লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ‘কবিতার তাঁতঘর’।
সম্প্রতি ১৬৯ জন কবি প্রতিভার সৃষ্টিকে পাথেয় করে ‘কবিতার তাঁতঘর’-এর উদ্যোগে শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে ‘মহুল’ পত্রিকার দ্বিতীয় মোড়ক উন্মোচিত হয়। একইসঙ্গে দিনের আলোর মুখ দেখে সাতজন কবির একক কাব্য গ্ৰন্থ।
অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কবি-সাহিত্যিক আরণ্যক বসু, কবি হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিময় কর সহ শতাধিক কবি। উপস্থিত ছিলেন ‘কবিতার তাঁতঘর’ -এর প্রাণভোমরা দেবাশীষ দাস, শিবানী চ্যাটার্জ্জী, শতমন্যু রায়, কুণাল মুখার্জি, অলি দাস ও কনিষ্ঠা অনিতা মুদি।
প্রদীপ প্রজ্বলিত করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিশিষ্ট অতিথিরা। উপস্থিত কবিরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। দুই বিশিষ্ট কবি কাব্য-সাহিত্য সম্পর্কে মননশীল আলোচনা করেন এবং নিজেদের উপর আস্থা রাখার জন্য নবীন প্রতিভাদের পরামর্শ দেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে সদ্য প্রকাশিত ‘মহুল’।
প্রসঙ্গত পেশাগত জীবনে নিজেদের চরম ব্যস্ততার মাঝে দিনের শেষে সমস্ত ক্লান্তি ভুলে সাহিত্যকে ভালবেসে কাব্যচর্চার লক্ষ্যে ওরা গড়ে তোলেন ‘কবিতার তাঁতঘর’। মনের মধ্যে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল সাহিত্য সংকলন প্রকাশ করা এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেগুলি সংশ্লিষ্ট কবিদের হাতে তুলে দেওয়া। ওরা সফল।
অনিতাদেবী বললেন- লক্ষ্য পূরণে আজ আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। আশাকরি আগামী দিনে আরও অনেক কবি প্রতিভা তাদের সৃষ্টি সম্ভার নিয়ে কাব্যচর্চার ‘মহুল’ বনে হাজির হবেন। সবার মিলিত প্রচেষ্টার ফলে 'কবিতার তাঁতঘর' হয়ে উঠবে সাহিত্য চর্চার পূণ্যভূমি।